মেডিক্যালের প্রবেশিকা পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার আগে ছাত্রীদের জোর করে অন্তর্বাস খোলানো হয়েছিল বলে অভিযোগ তুলেছিলেন নিট পরীক্ষার্থীরা। কেরলে এই বিস্ফোরক অভিযোগকে কেন্দ্র করে এবার নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ।মঙ্গলবার কেরল পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে। কোল্লামের মারথুমা কলেজের এই ঘটনায় এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়।
কোট্টারাকারা পুলিশ স্টেশনে এক ছাত্রীর অভিভাবকের দায়ের করা রিপোর্ট অনুযায়ী, কেরালার মারথোমা ইনস্টিটিউট অফ ইনফরমেশন টেকনোলজি (Kerala’s Marthoma Institute of Information Technology ) সেন্টারে NEET পরীক্ষা দিতে আসা মহিলা পরীক্ষার্থীদের হল কর্তৃপক্ষ তাদের অন্তর্বাস অর্থাৎ ব্রা খুলতে নির্দেশ দেওয়া হয়। অন্যথায় পরীক্ষার হলে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলেও জানানো হয়। পরীক্ষা দেওয়ার জন্য মেয়েদের অন্তর্বাস খুলে লকারে রাখতে বাধ্য করে ওই পরীক্ষা কেন্দ্র বলে অভিযোগ জানিয়েছেন এক ছাত্রীর বাবা।
তারপরেই একাধিক ছাত্রী এ ব্যাপারে অভিযোগ জানিয়েছেন। কোল্লামের এই ছাত্রীটি জানিয়েছেন, পরীক্ষার দিন হলে ঢোকার আগে এবং পরে ঠিক কী কী ঘটেছিল। হলে ঢোকার শুরুতেই দু’টি লাইনে দাঁড়াতে বলা হয়েছিল মহিলা পরীক্ষার্থীদের। ওই তরুণীর কথায়, ‘আমাদের বলা হয়েছিল শরীর স্ক্যান হবে। তখন ভেবেছিলাম স্ক্যান করে ছেড়ে দেবে। কিন্তু স্ক্যান করার পর আমাদের দু’টি লাইনে দাঁড় করানো হয়। যাঁদের অন্তর্বাসে ধাতব হুক নেই তাঁদের একটি লাইন, আরেকটি…।’ দ্বিতীয় লাইনটি কাদের প্রশ্নের জবাবে ওই ছাত্রী বলেছেন, ‘আমাকে জিজ্ঞাসা করা হয় আমার অন্তর্বাসে ধাতব হুক আছে কি না। হ্যাঁ বলতেই ওরা ওই দ্বিতীয় লাইনে দাঁড়াতে বলে।’
ওই ছাত্রীর অভিযোগ, ‘ওরা আমাদের অন্তর্বাস খুলে একটি টেবিলে রাখার নির্দেশ দেয়। আমি যখন এসে সেই টেবিলের সামনে পৌঁছই, ততক্ষণে সেখানে অন্তর্বাসের স্তূপ তৈরি হয়েছে। ভাবছিলাম, যখন ফিরব তখন নিজের অন্তর্বাস ফেরত পাব তো! অবশ্য ফেরার সময় ওই ঘেঁটে থাকা স্তূপের ভিতর থেকে নিজের অন্তর্বাস খুঁজে পেয়েছিলাম।’ অভিযোগ, নিরাপত্তাকর্মীদের আচরণ নাকি ছিল আরও অমানবিক। এক ছাত্রী কেঁদে ফেলায় তাঁকে রীতিমতো ধমক দেওয়া হয়। পরীক্ষা শেষে অন্তর্বাস ফেরত পেয়ে তা পরার জন্য অপেক্ষা করছিলেন ছাত্রীরা। অন্ধকার ঘরে পোশাক বদলাতে অস্বস্তি হচ্ছিল। এরই মধ্যে এক মহিলা নিরাপত্তা কর্মী বলেন, ‘পরার দরকার নেই। ওটা তুলে হাতে নিয়ে বেরিয়ে যাও।’
নিট–এর আয়োজক সংস্থা ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি এই অভিযোগ প্রথমে অস্বীকার করলেও একাধিক অভিযোগ দায়ের হতেই একটি অনুসন্ধান দল গড়েছে। ঘটনাটির তদন্ত শুরু হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ইতিমধ্যেই পাঁচ মহিলাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Gautam Adani: গেটসকে টপকে বিশ্বের চতুর্থ ধনী ব্যক্তি ভারতের গৌতম আদানি, ঘোষণা ফোর্বসের