২১ জুলাই শহিদ দিবসে দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ডাক দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এমনকি খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাঁর ভাষণে বিজেপি-র বিরুদ্ধে দুর্নীতির ইঙ্গিত রেখেছিলেন। কিন্তু, শহিদ দিবসের এই ঘটনার পর ২৪ ঘণ্টাও কাটলো না শুক্রবার সকালে ইডি কড়া নাড়ল তৃণমূল কংগ্রেসের দুই মন্ত্রীর বাড়িতে। আর সেই সঙ্গে রাজ্যের ১৩টি জায়গায় ইডি তল্লাশি অভিযানে নেমেছে। যে দুই মন্ত্রীর বাড়িতে ইডি শুক্রবার সকালেই হাজির হয়েছে তাঁর হলেন পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় এবং পরেশ অধিকারী। পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় এখন অন্য দপ্তরের মন্ত্রীত্ব সামলালেও একটা সময় শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব সামলিয়েছিলেন। আর এসসিসি-র দুর্নীতি মামলায় তাঁর নাম জড়িয়েছে। অন্যদিকে পরেশ অধিকারীর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বেআইনিভাবে নিজের মেয়েকে এসএসসি-র প্যানেলে নাম ঢুকিয়ে দিয়ে চাকরির দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর বাড়িতে সকালে আগাম কোনও নোটিস ছাড়াই পৌঁছন ইডি আধিকারিকরাও। এসএসসি দুর্নীতি মামলায় এর আগে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন তিনি। তাঁকে ম্যারাথন জেরা করা হয়। তিনি শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন, তাঁর সুপারিশে যে কমিটি তৈরি হয়েছিল, সেটি আদৌ আইনত বৈধ কিনা, তার যৌক্তিকতা কী ছিল, তা তাঁর কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: Habra: বৃদ্ধা মাকে স্টেশনে রেখে উধাও ছেলে, সারাদিন একলা বসে রইলেন ৭৫-এর সরযূ
ইডি মূলত আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত দুর্নীতির বিষয়টি দেখে। এসএসসি দুর্নীতি মামলায় টাকার বিনিময়ে চাকরির অভিযোগ রয়েছে, এই বিষয়টি দেখছে ইডি। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে এই সংক্রান্ত কোনও নথি রয়েছে কিনা, তিনি কোনওভাবে লাভবান হয়েছিলেন কিনা, জমি বাড়ি বা এই টাকায় কোনওভাবে সম্পত্তির পরিমাণ বাড়িয়েছিলেন কিনা, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
সেই সঙ্গে কোচবিহারের মেখলিগঞ্জে পরেশের বাড়ি, উপদেষ্টা কমিটির সদস্যের বাড়ি-সহ মোট ১৩ টি জায়গায় ৮০-৯০ জন ইডির আধিকারিকরা অভিযান চালাচ্ছেন। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে উপদেষ্টা কমিটির আহ্বায়ক শান্তিপ্রসাদ সিনহাকেও। তবে বিষয়টি নিয়ে আপাতত মুখ খোলেননি পার্থ বা পরেশ বা উপদেষ্টা কমিটির সদস্যরাও। যাঁরা ইতিমধ্যে সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েছেন। বিষয়টি নিয়ে ইডির তরফেও কিছু জানানো হয়নি।