পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর থেকেই চর্চিত হয়েছে তাঁর নাম। তবে এহেন মোনালিসা দাস এখন কোথায়, তা জানা নেই কারও। কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলার শিক্ষিকা। পার্থকে নিজের ‘অভিভাবক’ বলে ব্যাখ্যা করা মোনালিসার কোনও হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। ফোন ধরছেন না। হোয়াট্সঅ্যাপে পাঠানো বার্তাও তিনি দেখছেন না।
শুক্রবার কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সাধন চক্রবর্তীকে মোনালিসার বিষয়ে প্রশ্ন করায় তিনি বলেন, ‘‘কোন শিক্ষক কবে কখন আসেন, তা আমার জানার বিষয় নয়। আমি জানিও না। ওটা ডিন দেখেন। আর এখন তো ক্লাস চলছে না। সামনেই পরীক্ষা। সব বিষয় অনলাইনেই হয় আজকাল। গবেষণার কাজ থাকলে তবেই আসতে হয়। না হলে নয়। তবে মোনালিসাদেবীর ব্যাপারটা আলাদা করে বলতে পারব না।’’ কলা বিভাগের ডিন শান্তনু ঘোষের দাবি, এখন উত্তম মণ্ডল বাংলা বিভাগের প্রধান। মোনালিসা দাস বছর দুয়েক আর ওই পদে নেই।’’
আরও পড়ুন: Arpita Mukherjee: অর্পিতার মামা বাড়ি গিয়ে মাছ ধরতেন মন্ত্রীমশাই! ক্ষোভে ফুঁসছে হুগলির জাঙ্গিপাড়া
পায়রাডাঙার বাসিন্দা সুপ্রতীক চক্রবর্তী সম্পর্কে মোনালিসার মামা। তিনি বলেন, ‘‘এ সবের মধ্যে আমার ভাগ্নি কোনও ভাবেই জড়িত নয়। তাই এ নিয়ে কিছু বলব না।’’ মোনালিসা কোথায় আছেন? সুপ্রতিক প্রথমে বলেন, ‘‘খড়দহ।’’ তার পর বললেন, ‘‘জানি না।’’
প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর ‘অনুগ্রহ’তেই নাকি মোনালিসার এই ‘বেড়ে ওঠা’। শুধু তা-ই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর পদোন্নতি, মোনালিসার তত্ত্বাবধানে পিএইচডি করা ছাত্রছাত্রীদের ‘সুবিধা’ পাইয়ে দেওয়া, তাঁদের চাকরির ক্ষেত্রেও ‘অনুচিত অগ্রাধিকার’ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সেখানেও পার্থের নাম জোড়া হয়েছে। অনেকের মতে, পার্থের সঙ্গে নিজের ‘পরিচিতি’-কে ব্যবহার করে মোনালিসা নিজেকে ‘প্রভাবশালী’ করে তুলেছিলেন।
সম্প্রতি সামনে এসেছে একটি ছবি, যেখানে দেখা যাচ্ছে, মোনালিসার হাতে রয়েছে তৃণমূলের একটি ব্যানার। মুখে তৃণমূলের লোগো দেওয়া মাস্ক, মাথায় লোগো লাগানো টুপি। অধ্যাপিকার এই ছবি বলে দিচ্ছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হয়ে প্রচারের কাজে পথে নেমেছিলেন তিনি। সূত্রের খবর, প্রচারের কাজ শেষে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের বাড়িতেও যেতেন মোনালিসা।