সাতসকালে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল প্রতিবেশী দেশ নেপাল। এদিন সকালে নেপালে তীব্র ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৬। এখনও অবধি কোনও হতাহতের খবর মেলেনি, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও এখনও অবধি জানা যায়নি।
নেপাল প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, এদিন সকাল ৮টা নাগাদ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। কাঠমাণ্ডুর কাছেই ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ন্যাশনাল আর্থকোয়েক মনিটরিং অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের তরফে জানানো হয়েছে, সকাল ৮টা ১৩ মিনিট নাগাদ ভূমিকম্প হয়েছে। পূর্ব নেপালের কাঠমাণ্ডু থেকে ১৪৭ কিলোমিটার দূরে খোটাং জেলায় মারটিম বিরতা এলাকায় ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল।
নেপালে ভূমিকম্পের প্রভাবে মৃদু কম্পন অনুভূত হয়েছে শিলিগুড়ি-সহ একাধিক জায়গায়। জানা গিয়েছে, কম্পনের উৎসস্থল নেপাল। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৫.৩। উত্তরবঙ্গের পাহাড়-সহ সিকিমেও অনুভূত হয়েছে কম্পন। শনিবার রাত ৩-৪ টের মধ্যে এই কম্পন অনুভূত হয় উত্তরবঙ্গের একাধিক জায়গায়। (Earthquake in Siliguri)
ভূমিকম্পের তীব্রতা বেশি না থাকলেও কম্পনে আতঙ্কিত হন উত্তরবঙ্গবাসী। জানা গিয়েছে, রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৫.৫। তবে ঘটনায় কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। ভারী বৃষ্টির জেরে এমনিতেই ধসের আশঙ্কা রয়েছে উত্তরবঙ্গে। এর সঙ্গে ভূমিকম্প হওয়ায় সেই আশঙ্কা বাড়তে পারে। কম্পনে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন অনেকে। অনেকেই বৃষ্টির মধ্যেই বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন। তবে কম্পন ক্ষণস্থায়ী হওয়ায় ফের বাড়িতে ফেরেন সবাই।
গত ২ জুলাইও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায়। রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে মৃদু কম্পন অনুভূত হয় দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াং, শিলিগুড়ি, আলিপুরদুয়ার-সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলে। যদিও কম্পনের উৎসস্থল ছিল ভুটান।