শনিবার হাওড়ার পাঁচলা থেকে ঝাড়খণ্ডের ৩ বিধায়কের গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ৪৯ লাখ টাকা। সেই ঘটনায় ঝাড়খণ্ডের ওই ৩ বিধায়ককে গ্রেফতার করল হাওড়া পুলিস। টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর কংগ্রেস ৩ বিধায়ক রাজেশ কাশ্যপ, নমন দীক্ষিত ও ইরফান আনসারিকে গ্রেফতার করেছে পাঁচলা থানার পুলিস। ওই ৩ কংগ্রেস বিধায়কের দাবি ছিল বড়বাজারে শাড়ি কেনার জন্য ওই টাকা আনা হয়েছিল। কিন্তু ওই দাবির সপক্ষে কোনও প্রমাণ দেখাতে পারেননি বিধায়করা। ওই ৩ বিধায়ককে ইতিমধ্য়েই সাসপেন্ড করেছে ঝাড়খণ্ড কংগ্রেস।
এই মামলাটি সিআইডির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানতে পারা যাচ্ছে। ওই ৩ বিধায়কের সঙ্গে ছিলেন আরও দুজন। তাদেরকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সবার মোবাইল কল ডিটেল ও তাঁরা যেসব জায়গায় গিয়েছিলেন সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ। জানা যাচ্ছে ঝাড়খণ্ড থেকে বেরিয়ে ওই ৩ বিধায়ক বিমানে গুয়াহাটি যান। সেখান থেকে সড়কপথে কলকাতায় আসেন। পাঁচলায় গ্রেফতারের পর তাদের ভবনীভবনে এনে জেরা করা হবে। আজ অথবা কাল এদের আদালতে পেশ করা হতে পারে।
উল্লেখ্য, শনিবার সন্ধেয় পাঁচলা মোড়ে একটি গাড়ি আটক করা হয়। সেখানে থেকেই ওই ৪৯ লাখ টাকা উদ্ধার হয়। সূত্রের খবর, শুক্রবার তাঁরা কলকাতায় এসেছিলেন। পুলিসের কাছে বিধায়করা জানিয়েছে, বড় বাজার থেকে শাড়ি কেনার জন্যে টাকা নিয়ে আসা হয়েছিল। সেই শাড়ি আদিবাসী দিবস উপলক্ষে ঝাড়খণ্ডের গ্রামীণ অঞ্চলে বিলি করার কথা ছিল। এদিন তাঁরা পূর্ব মেদিনীপুরের মন্দারমনির উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন, তখনই আটক করা হয় গাড়িটি। কলকাতা এসে কোন হোটেলে উঠেছিলেন তাও জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এই ঘটনার পর কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ টুইট করে লেখেন, ‘ঝাড়খণ্ডে বিজেপির অপারেশন লোটাসের পর্দা ফাঁস হয়ে গিয়েছে হাওড়ায়। মহারাষ্ট্রে যা হয়েছিল, ঝাড়খণ্ডেও ইডিকে কাজে লাগিয়ে সেই কাজ করতে চাইছে বিজেপি।’ তৃণমূল আগেই অভিযোগ করেছিল যে মহারাষ্ট্রের পর ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস সরকার ফেলার পরিকল্পনা করছে বিজেপি। তাই কংগ্রেস বিধায়কদের বাংলায় ডেকে টাকা দিয়েছিল। পুলিশের তৎপরতায় সেই টাকা ধরা পড়ে যায়। তৃণমূলের সেই অভিযোগ কার্যত মেনে নিল কংগ্রেস।