বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) দিল্লি যাচ্ছেন। রাজধানীতে পৌঁছেই তৃণমূল সাংসদদের সঙ্গে এক সান্ধ্য চা-চক্রে তিনি মিলিত হবেন। এখনও পর্যন্ত ঠিক আছে, শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করবেন মমতা। আর সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টার সময় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ।
মোদী দিল্লিতে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলাদা দেখা করলে, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি নেতা-কর্মীদের মনোবল ধাক্কা খাবে বলে নেতৃত্বকে জানিয়ে এসেছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দাবি করেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী যেন মমতার সঙ্গে দেখা না করেন। তা অবশ্য বাস্তবে হচ্ছে না ।
আরও পড়ুন: Adhir Ranjan: দ্রৌপদীকে ‘রাষ্ট্রপত্নী’ বলে বিতর্কে অধীর, বললেন – ক্ষমা চাইতে প্রস্তুত
৭ তারিখ প্রধানমন্ত্রীর ডাকা ‘নীতি আয়োগের’ বৈঠকে যোগ দিতেই মূলত মমতার দিল্লি যাওয়া। এই সময় সংসদে অধিবেশনও চলছে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল কাল, শুক্রবার নরেন্দ্র মোদী র (Narendra Modi) সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠক হবে মমতার। সেখানে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া-সহ বাংলার সমস্ত দাবিদাওয়া ফের তুলে ধরবেন মুখ্যমন্ত্রী। ওইদিনই নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ হতে পারে মমতার।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার দিল্লি সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যাচ্ছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। দিল্লিতে বৃহস্পতিবার বিকেলের মধ্যে পৌঁছে যাবেন তাঁরা। তার পর দলের সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা অভিষেকের। পার্থের গ্রেফতারি এবং এসএসসি দুর্নীতি নিয়ে দিল্লিতেও আলোচনা চলছে। কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করতে গেলে তৃণমূলের সাংসদদের পাল্টা রাজনৈতিক আক্রমণের মুখে পড়তে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সর্বভারতীয় রাজনীতিতে দলের রণকৌশল কী হবে, তা নিয়ে সাংসদদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন অভিষেক।
আরও পড়ুন: Visakhapatnam: পোশাক তৈরির কারখানায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা, গ্যাস লিক করে অসুস্থ কমপক্ষে ৫০