অনুব্রত মণ্ডলের ছায়াসঙ্গী ছিলেন তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। তিনি গরুপাচার-কাণ্ডে আগেই গ্রেফতার হয়েছেন। ঠাঁই হয়েছে জেলে। তারপর বীরভূমের বেতাজ বাদশা অনুব্রত মণ্ডলও গরু পাচার-কাণ্ডে গ্রেফতার হয়ে আসনসোল জেলে এসেছেন। দু-জনে রয়েছেন পাশাপাশি সেলে। সূত্রের খবর, জেলেও অনুব্রতর সর্বক্ষণের সঙ্গী হয়ে উঠেছেন সায়গল।
গ্রেফতার হওয়ার আগে সায়গলই কার্যত আগলে রাখতেন অনুব্রতকে। অনুব্রতের ওষুধপত্র, খাওয়াদাওয়া-সহ প্রায় সবই তাঁর নখদর্পণে। সংশোধনাগার সূত্রে জানা গিয়েছে, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অনুব্রতের কার্যত ছায়াসঙ্গী হয়ে থাকছেন সায়গল। অনুব্রত খাওয়াদাওয়া ঠিক মতো করছেন কি না, খোঁজ রাখছেন। ওষুধ খাইয়ে দিচ্ছেন, রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে অনুব্রতকে অক্সিজেন মাস্ক পরিয়ে দিচ্ছেন। নেবুলাইজ়ারের ব্যবস্থাও করছেন।
আরও পড়ুন: Anubrata Mondal: জামিনের আবেদন খারিজ, আরও ৪ দিন সিবিআই হেফাজতে কেষ্ট
সংশোধনাগার সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি সেলে আরও ছ’জন সহ-আবাসিকের সঙ্গে রয়েছেন অনুব্রত। পাশের সেলেই রয়েছেন সহগল। সকালে প্রাতরাশ সেরে সহগলের সঙ্গেই সংশোধনাগার চত্বরে অল্পবিস্তর হাঁটাহাঁটি সেরে নিচ্ছেন বীরভূমের কেষ্ট।
বৃহস্পতিবার অনুব্রতের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানো হয় আসানসোল জেলা হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, অনুব্রতের ওজন ১০৯.৯ কেজি। সে দিন অনুব্রতের রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ছিল প্রায় ৯৮ শতাংশ। প্রতি ডেসিলিটার রক্তে শর্করার মাত্রা ছিল ১২৭ মিলিগ্রাম। রক্তচাপ ছিল ১৪০/১০০, যা স্বাভাবিকের থেকে বেশি। তবে ‘বডি মাস ইনডেক্স’ অনেকটাই বেশি বলে চিকিৎসকেরা জানান। সংশোধনাগারের সুপার কৃপাময় নন্দী বলেন, “তেমন প্রয়োজন হলে নিশ্চয় ফের ওঁকে চিকিৎসককে দেখানো হবে।”
আরও পড়ুন: Srikanta Mahata: ‘মিমি, নুসরত, সায়নী, জুনরা লুটেপুটে খাচ্ছে!’ দলকে চাপে ফেললেন শালবনির বিধায়ক