পারিবারিক সম্পত্তিবৃদ্ধি মামলার বিরোধিতায় ফের সরব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। ভূমি রাজস্ব সচিব, মুখ্যসচিবকে তাঁর নামে থাকা সম্পত্তি তদন্ত করে দেখার নির্দেশ। অভিযোগ প্রমাণিত হলে বুলডোজার দিয়ে অবৈধ নির্মাণ আধিকারিকদের ভেঙে ফেলার কথা বলেন তিনি।
২০১১ সালে রাজ্যের ক্ষমতায় আসে তৃণমূল কংগ্রেস। আর ২০২১ সালে রাজ্যে তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে, অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই উত্তরোত্তর বেড়েছে পরিবারের সম্পত্তির পরিমাণ। এমন অভিযোগে এবার কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করা হয়েছে। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি হতে পারে।
এদিকে, এই নিয়ে ইতিমধ্যেই বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। বিরোধী পক্ষ থেকে ক্রমাগত কটাক্ষ করা হচ্ছে। এর জেরেই এবার খোদ মুখ্যমন্ত্রী একেবারে নজিরবিহীন পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সম্পত্তি নিয়ে তদন্ত করার জন্য মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে নির্দেশ দিলেন।
আরও পড়ুন: Cattle Smuggling: আদালতে যাওয়ার পথে শক্তিগড়ে প্রাতঃরাশ সারলেন অনুব্রত মণ্ডল, কী ছিল তাঁর মেনুতে?
উল্লেখ্য, এর আগেই পারিবারিক সম্পত্তি বৃদ্ধির অভিযোগ নিয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের সভা থেকে বিরোধীদের জবাব দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক থেকে ফের এই বিষয়ে মুখ খোলেন। এদিন তিনি বলেন, ‘আমি একটু আউটস্পোকেন। বলা হচ্ছে, সরকারের জমি দখল করে বসে আছি। আমার বাসস্থান রানি রাসমণির সম্পত্তি। আমি সেখানেই ঠিকা প্রজা হিসাবে থাকি। নিজেদের জমি নেই। ভূমি রাজস্ব সচিব, মুখ্যসচিবকে বলেছি তদন্ত করতে। আমার পরিবারের সম্পত্তি নিয়ে তদন্ত করা হোক। জমি দখল হলে ভেঙে দিতে বলেছি। বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিন। কারও অনুমতি নিতে হবে না।’
এর সঙ্গে মমতার আরও সংযোজন, ‘সমাজসেবা করার জন্য রাজনীতিতে এসেছি। এরকম নোংরা রাজনীতি দেখলে আগেই রাজনীতি ছেড়ে দিতাম। এরকম নিকৃষ্ট জানলে রাজনীতিতে আসতাম না। ভাবেন স্বার্থের জন্য বসে থাকি? আগেও পদ ছেড়ে দিয়েছি। একদিনের মধ্যে মন্ত্রীত্ব ছেড়ে দিয়েছিলাম। আমি তো চিরকাল বাঁচব না। তবে জেনে শুনে কোনও অন্যায় করিনি।’
আরও পড়ুন: Swasthya Sathi-তে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ, কড়া দাওয়াই স্বাস্থ্য ভবনের