গত বছর রাজ্যের দুর্গাপুজোকে ‘ইনট্যাঞ্জিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি’র তালিকায় স্থান দিয়েছে ইউনেসকো। তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টোর সময় জোড়াসাঁকো থেকে শুরু হয় পদযাত্রা। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ হয়ে চলল এই পদযাত্রা। গন্তব্য ছিল রেড রোড।
দুর্গাপুজোর পদযাত্রায় যোগ দিতে এ দিন ১টা ৫০ মিনিট নাগাদ জোড়াসাঁকোয় পৌঁছে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে পৌঁছে ইউনেস্কোকে আরও এক বার ধন্যবাদ জানান তিনি। সেখানকার অনুষ্ঠান মঞ্চে ছিলেন ইউনেস্কোর প্রতিনিধি, বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বিশিষ্টজনেরা। ওই মঞ্চে ইউনেস্কোকে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রতিনিধিদের হাতে তুলে দেন একাধিক দুর্গামূতি।
মানবিকতার বার্তার পাশাপাশি দুর্গাপুজোর ফলে রাজ্যের কত মানুষ উপকৃত হন, এদিন তা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে ৪০ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হয়।” এরপরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আজ থেকে পুজো শুরু হয়ে গেল। খুশিতে থাকুন। মন ভাল রাখুন। মানবিক থাকুন। হৃদয়কে উদার করুন।” এসবের পাশাপাশি ইউনেস্কোর প্রতিনিধিদের কলকাতার পুজো দেখার আমন্ত্রণ জানান। বলেন, ইউনেস্কোর এই স্বীকৃতি আরও উদ্বুদ্ধ করবে বাঙালিকে।
প্রসঙ্গত, এদিন পুজোর মিছিল শেষ হওয়ার পর রেড রোডে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। বাউল গান করেন ১০০ জন লোক সংগীত শিল্পী। নৃত্য পরিবেশনা করেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়-সহ অন্যান্যরা। এসবের মধ্যে দিয়েই বাংলায় শুরু হয়ে গেল পুজো।