এসএসসি থেকে প্রাথমিক টেট, সাম্প্রতিক সময়ে নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে উঠে এসেছে। এরপরই সিবিআইকে (CBI) তদন্তের দায়ভার দেওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য একাধিক কঠোর নির্দেশ জারি করেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly) সিঙ্গেল বেঞ্চ। এদিন সেই রায়গুলি নিয়ে মামলার শুনানি চলাকালীন সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশই বহাল রাখল ডিভিশন বেঞ্চ।
এর আগে ২০১৪ সালের টেট নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই (CBI)তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ, তৎকালীন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য এবং চাকরি বাতিল হওয়া ব্যক্তিরা। এই তদন্ত কোনও কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে হোক, তা চায়নি পর্ষদ। তাঁর সেই মামলার শুনানি শেষ হয়েছিল আগেই। স্থগিত ছিল রায়দান। শুক্রবার সকালে উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ ৮৫ পাতার নির্দেশনামা দিয়ে বহাল রাখল সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কেই। অর্থাৎ TET দুর্নীতি মামলার তদন্ত করবে সিবিআই-ই। পাশাপাশি এদিন পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যর অপসারণের সিদ্ধান্তও বহাল রাখা হল।
আরও পড়ুন: জাতীয় পতাকা হাতে নিতে ‘নারাজ’ জয় শাহ! ত্যাজ্যপুত্র করুন- অমিত শাহকে অভিষেক
একই সঙ্গে এদিন টেট মামলায় ২৬৯ জন চাকরি প্রার্থীর নিয়োগ বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এক্ষেত্রে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশই বহাল রাখল হাইকোর্ট। অর্থাৎ যতক্ষণ না তদন্ত শেষ হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত ওই চাকরিপ্রার্থীদের পুনরায় বহাল করা যাবে না বলেই জানিয়ে দিল তারা।
রায় ঘোষণার পর সিবিআইয়ের তরফে আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানিয়েছেন, এই মামলায় ডিভিশন বেঞ্চ কোনও হস্তক্ষেপ করেনি। যেভাবে আদালতের নজরদারিতে তদন্ত চলছিল, তেমনই চলবে এবং উচ্চ আদালতে নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর রিপোর্ট দিয়ে তদন্তের অগ্রগতি জানাতে হবে।
আরও পড়ুন: UNESCO: পুজোর পদযাত্রায় পা মেলালেন মুখ্যমন্ত্রী, বললেন- মানবতার সঙ্গে কোনও আপস নয়