ব্রিটেনের রানি তিনি। সম্পত্তির যে লেখাজোখা থাকবে না সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তাও সম্পত্তির পরিমাণ ঠিক কত? দ্বিতীয় এলিজাবেথের (Queen Elizabeth II) মৃত্যুর পর তাঁর বিষয়-আশয়ের পরিমাণ জানতে উৎসুক তামাম বিশ্ব। রাজঘরানার অবসানের পরেও তাঁর উপার্জন কীভাবে হত সেটাও জানতে চাইছে সবাই।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সম্পত্তির পরিমাণ হিসেব করেছে বিখ্যাত ম্যাগাজিন ফরচুন। তাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রানির ব্যক্তিগত সম্পত্তির পরিমাণ ৫০০ মিলিয়ন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় তা প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। বিগত ৭০ বছর সিংহাসনে আসীন ছিলেন রানি। সেই সময়েই এই পরিমাণ সম্পত্তি অর্জন করেছেন তিনি। এছাড়া ব্রিটিশ রাজ পরিবারের ২৮ বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা রয়েছে, যাকে রয়্যাল ফার্ম বলা হয়। রাজা ষষ্ঠ জর্জ (George VI) এবং প্রিন্স ফিলিপ (Prince Philip) এটিকে পারিবারিক ব্যবসাও বলে থাকেন।
এর মধ্যে কিছু ধনসম্পদ বংশ পরম্পরায় পাওয়া। এলিজাবেথের মা মারা যাওয়ার পর ৮৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পেয়েছিলেন তিনি। প্রিন্স ফিলিপের মৃত্যুর পরও নাকি ১২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পেয়েছিলেন।মধ্যযুগ থেকে ল্যানচেস্টার এস্টেট রাজপরিবারের দখলে। ৩১৫টি বসতবাড়ি, কমার্শিয়াল প্রপার্টি এবং কৃষিজমি নিয়ে তৈরি এই এস্টেট থেকে কমপক্ষে ২০ মিলিয়ন করে ইনকাম হয় বাকিংহাম প্যালেসের। এই টাকা ব্যবহার করেই নাকি Balmoral এবং Sandringham -এর সম্পত্তির যত্ন নিতেন রানি। কারণ, ওই দু’টি বাড়ির খরচ চালানো যথেষ্ট ব্যয়বহুল। এদিকে ইংল্যান্ডের আম জনতার করের একাংশ Sovereign Grant -এ যায়। সেই গ্র্যান্ট থেকেই ব্রিটেনের রাজপরিবারের সদস্যদের বেতন দেওয়া হয়।
কোহিনূর-খচিত বহু চর্চিত ও বিতর্কিত মুকুটের পাশাপাশি, রানির ব্যক্তিগত গয়নার সংগ্রহও চোখধাঁধানো। ১২০০ বছরেরও বেশি পুরনো রাজতন্ত্রে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ উত্তরাধিকার সূত্রে অসাধারণ এবং অমূল্য কিছু গয়না পেয়েছিলেন। বলা হচ্ছে, রানির পর কিং চার্লস সরাসরি বিপুল সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হিসেবে বিবেচিত হবেন না, তবে রানির সম্পত্তিতে তাঁর অধিকার থাকবে, কিন্তু সীমিত।
আরও পড়ুন: ৭৩ বছর বয়সে ব্রিটেনের রাজা হলেন চার্লস, রাজা হিসাবে তাঁর প্রথম ভাষণ আজ