পশ্চিমবঙ্গের রেশন গ্রাহকদের কেরোসিনের কোটা কমিয়ে অর্ধেক করে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। আগামী অক্টোবর মাস থেকে নতুন কোটা কার্যকর হবে।এতদিন প্রতি তিন মাসে পশ্চিমবঙ্গের রেশন গ্রাহকদের জন্য প্রায় ১ লক্ষ ৭৬ হাজার কিলোলিটার কেরোসিন দেওয়া হতো। এই হিসেবে মাসিক বরাদ্দ ছিল ৫৮ হাজার ৬৬৮ কিলোলিটার। অক্টোবর থেকে প্রতি তিন মাসের বরাদ্দ কমে হচ্ছে ৮৮ হাজার ৩৩২ কিলোলিটার। ফলে মাসিক বরাদ্দ দাঁড়াবে ২৯ হাজার ৪৪৪ কিলোলিটার।
কেন এমন করল কেন্দ্রীয় সরকার? বাংলায় এখন বিদ্যুৎ সংকট নেই। আবার রান্নার গ্যাস অনেকে ব্যবহার করে। সুতরাং এখন কেরোসিন ব্যবহার আগের মতো হয় না। অথচ গ্রামীণ মানুষদের আয় কম থাকায় এখনও কেরোসিনই তাঁদের ভরসা। সেখানে কমিয়ে দেওয়ার অর্থ তাঁদের বিপদে ফেলা। ২০১৬ সাল থেকে কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন রাজ্যের কেরোসিনের কোটা কমানোর নীতি নেয়। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টের একটি মামলার জেরে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছিল। তাই শুধু পশ্চিমবঙ্গের জন্য কেরোসিনের বরাদ্দ কমাতে পারেনি কেন্দ্র। পরে ওয়েস্ট বেঙ্গল কেরোসিন এজেন্টস ওয়েলফেয়ার কমিটি মামলাটি প্রত্যাহার করে নেয়। মামলা প্রত্যাহার হতেই রাজ্যের কেরোসিনের কোটা কমানোর সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার।
আরও পড়ুন: CBI Raid: এবার মন্ত্রী মলয় ঘটকের বাড়িতে সিবিআই হানা, দুটি বাড়ি ঘিরে ফেলল কেন্দ্রীয় বাহিনী
এই বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়াকে বাংলার গরিব মানুষের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকারের যুদ্ধ ঘোষণা হিসেবে দেখছে তৃণমূল। শাসকদলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, এটা বাংলার প্রতি বৈষম্য। রাজ্যের বিজেপি নেতারা জবাব দিক।
কেরোসিনের দাম গত কয়েক বছরে হুহু করে বেড়েছে। ভর্তুকিও ছাঁটাই করেছে কেন্দ্র। তারপর আবার এই বাংলার বরাদ্দ অর্ধেক কমিয়ে দেওয়া। সামগ্রিক পরিস্থিতিতে বাংলার রেশন ডিলাররাও বলছেন তাঁদের তো আর্থিক ক্ষতি হবেই সেইসঙ্গে মাথাপিছু বরাদ্দ কমায় বিপাকে পড়বেন গরিব মানুষও।
আরও পড়ুন: Weather Update: বঙ্গোপসাগরে ফের তৈরি হচ্ছে নিম্নচাপ, কপালে রয়েছে আরও দুর্যোগ