Several trains cancelled due to Kurmi agitation

Kurmi Agitation: ৩৩ ঘণ্টা পার, কুরমি সম্প্রদায়ের অবরোধে বিপর্যস্ত রেল পরিষেবা

৩৩ ঘণ্টা কেটে গেলেও এখনও অব্যাহত রেল অবরোধ কুরমি জাতির। কুরমি জাতিকে তপশিলি উপজাতি তালিকাভুক্ত করার দাবি সহ কুরমালি ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তপশিলে তালিকাভুক্ত ও অবিলম্বে সারনা ধর্মের কোড চালু করার দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেল অবরোধে বসেন তাঁরা। মঙ্গলবার সকাল থেকে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আদ্রা চান্ডিল শাখার কুস্তাউর স্টেশনে ও নিমডি স্টেশনে অবরোধ শুরু করে আন্দোলনকারীরা। এর জেরে সমস্যায় পড়েছেন রেলযাত্রীরা। ইতিমধ্যেই আদ্রা ডিভিশনের পক্ষ গতকাল বিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্রায় ১৭টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনও।

সেগুলি হল, হাওড়া-মুম্বই গীতাঞ্জলি এক্সপ্রেস, আদ্রা-বরাভূম প্যাসেনঞ্জার, সাঁতরাগাছি-পুরুলিয়া-হাওড়া এক্সপ্রেস, খড়্গপুর-হাতিয়া এক্সপ্রেস, আসানসোল-বরাভূম প্যাসেনঞ্জার বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি চক্রধরপুর-টাটানগর-খড়্গপুর, টাটানগর-খড়্গপুর প্যসেনঞ্জার, চক্রধরপুর-গোমো এক্সপ্রেস, খড়্গপুর-ঝাড়গ্রাম স্পেশাল (দুটি ট্রেন), খড়্গপুর-টাটানগর স্পেশাল, ধানবাদ-ঝাড়গ্রাম এক্সপ্রেস, আসানসোল-রাঁচী প্যাসেনঞ্জার। বাতিল করা হয়েছে হাওড়া-মুম্বই দুরন্ত এক্সপ্রেস।

আরও পড়ুন: Weather Update: ভয় দেখাচ্ছে ঘূর্ণাবর্ত-নিম্নচাপ! পুজোতে ভাসবে বাংলা?

প্রচুর ট্রেনের যাত্রাপথের বদল হয়েছে। বিভিন্ন সড়কেও আটকে পড়েছিল একাধিক গাড়ি। এর জেরে ব্যাপক সমস্যায় পড়েন নিত্য়যাত্রীরা। পুজোর মুখে পর্যটকরাও চরম হয়রানির শিকার। ২৪ ঘণ্টারও বেশি রেল অবরোধ এবং কুড়মিদের এই আন্দোলন নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিলেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। এই উদাসীনতার জন্য কেন্দ্রকে বিঁধেছেন তিনি। আদিবাসীদের উপর আক্রমণ বিজেপির আমলে সবথেকে বেশি হয়েছে বলেও অভিযোগ তাঁর।

বুধবার পরিবহন মন্ত্রী বলেছেন, “কেন্দ্রের এই সরকারের আমলে সবথেকে অত্যাচার হয়েছে দলিত, আদিবাসী, জনগোষ্ঠী মানুষের উপর। বিজেপি শাসিত রাজ্যে উত্তরপ্রদেশে দলিতদের উপর সব থেকে বেশি অত্যাচার হচ্ছে। আদিবাসী মানুষেরাই হচ্ছে আমাদের এ দেশের অরিজিন। তাঁদের ভাষা সংস্কৃতি কৃষ্টি এগুলিকে তুলে ধরার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রভূত ব্যবস্থা নিয়েছেন। তাঁদের সামাজিক ও আর্থিক মান উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প তাঁদের জন্য রয়েছে। কেন্দ্র সরকার একটা মুষ্টিমেয় মানুষের সরকার। ধনীদের, শিল্পপতিদের সরকারে পরিণত হয়েছে। তাই তাঁদের দলিত আদিবাসীদের দিকে নজর নেই। তাই প্রতিবাদ হচ্ছে। পুজোর মুখে যানবাহন ব্যাহত হওয়ায় সকলেরই অসুবিধা হচ্ছে। সেগুলি কেন্দ্রীয় সরকারের দেখা উচিত।”

মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে থেকে শুরু হয়েছে কুড়মালি আন্দোলন। কুড়মি জাতিকে তফসিলি জনজাতি সম্প্রদায়ভুক্ত করার দাবি তুলেছেন আন্দোলনকারীরা। পাশাপাশি, কুড়মালি ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তফসিলির অন্তর্ভুক্তির দাবি নিয়ে পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। এই আন্দোলনের জেরে বহু জেলায় ট্রেন অবরোধ এবং রাস্তা রোকো কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। এই আন্দোলনের জেরে মঙ্গলবারও একাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়। বিক্ষোভকারীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছেন, তাঁদের দাবি না মানা হলে আন্দোলন চলতেই থাকবে।

আরও পড়ুন: Anubrata Mandal: ফের খারিজ জামিনের আবেদন, পার্থর মত জেলেই পুজো কাটবে কেষ্টরও