রবিবার সন্ধ্যায় অঙ্কিতার শেষকৃত্য হয়। পরিবারের সদস্যরা এখনও ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছেন। সোমবার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসবে বলে আশা করা হচ্ছে(ankita bhandari postmortem)। এই রিপোর্টে মৃত্যুর কারণসহ অনেক বড় তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে। ময়নাতদন্ত রিপোর্টের পরই বোঝা যাবে মৃত্যুর কারণ কী? (what happened to ankita bhandari) এই ময়নাতদন্ত রিপোর্ট থেকে বোঝা যাবে অঙ্কিতার শরীরে আঘাতের চিহ্ন কী কারণে এবং জলে ডুবে মৃত্যু নাকি অন্য কিছু। একই সঙ্গে ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। এ ছাড়া পরিবারের সদস্যরা ফাস্টট্রাক কোর্টে মামলা করে দোষীদের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন।
উত্তরাখণ্ডের বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামী জানিয়েছেন, অঙ্কিতার পরিবারের দাবিগুলি প্রশাসন মেনে নিয়েছে। অন্ত্যেষ্টিতে রাজি হওয়ার আগে মৃতার বাবা বীরেন্দ্র সিংহ ভাণ্ডারীর দাবি, ‘মেয়ের খুনিদের ফাঁসি চাই।’ জাতীয় সড়ক-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পথ অবরোধ করেন ক্ষুব্ধ জনতা। এর মধ্যেই উত্তরাখণ্ডের বিজেপি সরকারকে নিশানা করেছে বিরোধী কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ, প্রকৃত ঘটনা ধামাচাপা দিতে তদন্ত হচ্ছে ধীর গতিতে। কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরার দাবি, গুরুত্ব দিয়ে এই স্পর্শকাতর মামলার বিচার হোক ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে। আর প্রধানমন্ত্রী
নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর টুইট, ‘অপরাধ ও অহংকার এখন বিজেপির সমার্থক। বিব্রত বোধ করেন না, কথাও বলেন না, তিনি নীরব। প্রধানমন্ত্রীর বার্তা স্পষ্ট, ‘মহিলারা আমার কাছ থেকে কিছু আশা করবেন না’’ মুখ্যমন্ত্রী ধামি পরিবারকে জানিয়েছেন যে তিনি তাদের সব দাবি মেনে নিয়েছেন। তিনি বলেন, ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে এ বিষয়ে শুনানি হবে। ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের জন্য রাজ্যের প্রধান বিচারপতিকে চিঠিও লিখেছেন তিনি।