পুজোর শুরুতেই দেশের টেলিকম শিল্পে নতুন দিগন্ত খুলে গেল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) হাত দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সূচনা হয়ে গেল ফাইভ জি পরিষেবার। শনিবার দিল্লির প্রগতি ময়দানে আনুষ্ঠানিকভাবে 5G পরিষেবার সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। উপস্থিত ছিলেন রিলায়েন্স গ্রুপের কর্ণধার মুকেশ আম্বানি-সহ (Mukesh Ambani) দেশের প্রধান তিন টেলিকম সংস্থার আধিকারিকরা।
নয়াদিল্লির প্রগতি ময়দানে ১ থেকে ৪ অক্টোবর আয়োজিত হবে ইন্ডিয়া মোবাইল কংগ্রেস। সেখান থেকেই দেশে ফাইভ-জি প্রযুক্তির উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী। দীপাবলি থেকে শহরগুলিতে চালু হয়ে যাবে ফাইভ-জি পরিষেবা।মুকেশ-পুত্র আকাশের সঙ্গে জিও-র ডেমো নিতে দেখা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন টেলিকম মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবও। নিজে হাতেই ডেমো দেন জিও-র চেয়ারম্যান আকাশ। Jio Glass পরতে দেখা গেল প্রধানমন্ত্রীকে।
আরও পড়ুন: বান্ধবীদের পোশাক বদলের ভিডিয়ো পাচার! এবার মাদুরাইয়ের কলেজে বিতর্ক
রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ভারতের ১৩টি বড় শহরে 5G রোলআউট হবে। সেগুলি হল আহমেদাবাদ, ব্যাঙ্গালুরু, চণ্ডীগড়, চেন্নাই, দিল্লি, গান্ধীনগর, গুরুগ্রাম, হায়দরাবাদ, জামনগর, কলকাতা, লখনউ, মুম্বই এবং পুনে।টেলিকম ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন, ফাইভ-জি প্রযুক্তি ভারতের পক্ষে যথেষ্ট লাভজনক হিসাবে প্রমাণিত হবে। ২০২৩ থেকে ২০৪০-এর মধ্যে ভারতের অর্থনীতিতে শুধুমাত্র ফাইভ-জি প্রযুক্তি বাবদ প্রায় ৫০ কোটি ডলার অতিরিক্ত আসবে।
ফাইভ-জি পরিষেবায় ইন্টারনেটের গতি অনেকটাই বেড়ে যাবে। ফলে যে কোনও বড় ফাইল, সিনেমা কিংবা গান ডাউনলোড হবে কয়েক মুহূর্তেই। ই-হেলথ, মেটাভার্সের দিক থেকেও অনেকটা এগিয়ে থাকবেন ফাইভ-জি ব্যবহারকারীরা।বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ভারতের এক তৃতীয়াংশের বেশি মোবাইলে ২০৩০ সালের মধ্যে ফাইভ-জি পরিষেবা চালু হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: অঙ্কিতা ছিল বিড়ালের সামনে রাখা কাঁচা দুধ, আরএসএস নেতার পোস্টে এফআইআর