হরিদেবপুরের যুবকের মৃত্যুতে প্রকাশ্যে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। দু’মাসের অন্তঃসত্ত্বা অয়নের প্রেমিকা। একাদশীর দিন হরিদেবপুরের বাড়িতে এসে অয়নের মাকে একথা জানিয়েছিল তাঁর প্রেমিকা। শনিবার এমনই দাবি করলেন অয়নের দিদা বৃহস্পতি নায়ার।
হরিদেবপুরের যুবক অয়ন মণ্ডলের রহস্যমৃত্যু ঘটেছে(Haridevpur youth’s murder)। আর এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর বান্ধবীকে।অয়নের ওই বান্ধবীর মা এবং ভাইকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। চলছে দফায় দফায় জেরা। বিজয়া দশমীর রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন হরিদেবপুরের যুবক। বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করবেন বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। তার পরে মগরাহাট থেকে উদ্ধার যুবকের দেহ।
অয়নের সঙ্গে বান্ধবী এবং বান্ধবীর মা দু’জনের সঙ্গেই প্রেমের সম্পর্ক ছিল। অয়নকে বিজয়া দশমীর দিন বাড়িতে ফোন করে ডাকা হয়েছিল। আর ঠাণ্ডা মাথায় খুন করা হয়েছে। এই খুনের সঙ্গে ওই বান্ধবীর আত্মীয়রাও জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন অয়নের বাবা। ইতিমধ্যেই পুলিশ গ্রেফতার করেছে অয়নের বান্ধবী, তাঁর মা–ভাই সহ তিনজনকে।
দশমীর রাত থেকে নিখোঁজ ছিল হরিদেবপুরের যুবক অয়ন মণ্ডল। বন্ধ ছিল তাঁর ফোন। ‘উদ্বিগ্ন’ প্রেমিকা অয়নের বাড়িতে ফোন করে। জানতে চায়, কোথায় আছে সে? খোঁজ না পেয়ে সটান অয়নের বাড়িতে হাজির হয় প্রেমিকা। অয়নের পরিবার সূত্রে খবর, ঘন্টা দুয়েক সেখানে ছিল মেয়েটি। বারবার অয়নের খোঁজ করছিল। এমনকী, পুলিশের কাছে খোঁজ নিতেও পরামর্শ দিয়েছিল সে। তখন অয়নের মা জানতে চান, “পুলিশের কাছে খবর নেব কেন? কোনও গণ্ডগোল হয়েছে? ছেলে কি মদ খেয়েছিল?” জবাবে মেয়েটি গণ্ডগোলের কথা স্বীকার করে নেয়। এর প্রায় ঘণ্টা দেড়েক পর অয়নের মা মঞ্জুর হাত ধরে সে বলে, “ওকে না পেলে আমার কী হবে? আমি দু’মাসের অন্তঃসত্ত্বা।” এদিন সেকথা জানালেন অয়নের দিদা।
তা হলে কি ত্রিকোণ সম্পর্কের টানাপড়েনেই এই পরিণতি হল অয়নের? এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়ারই চেষ্টা করছে পুলিশ। ওই বন্ধুর দাবি, ত্রিকোণ সম্পর্কের কথা জানতে পেরেছিলেন অয়নের বান্ধবীর বাবা। তবে এই দাবি আদৌ সত্য কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।