২০২১ সালের অক্টোবরে মুম্বইয়ের উপকূলে প্রমোদতরী ‘কর্ডেলিয়া’-য় মাদকযোগের অভিযোগে শাহরুখ খানের পুত্র আরিয়ান খান-সহ আরও ১৯ জনকে গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থা (এনসিবি)। এনসিবি-র সেই অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সংস্থার অন্যতম শীর্ষ অফিসার সমীর ওয়াংখেড়ে।
আরিয়ান খানের বিরুদ্ধে মামদক মামলায় উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ পেশ করতে না পারায়, আদালতের তরফে মুক্তি দেওয়া হয় আরিয়ান খানকে। সেই মামলাতেই এবার সামনে এল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। এনসিবির একটি অন্তর্বর্তী রিপোর্টেই আরিয়ান খানের মামলার সঙ্গে যুক্ত সাত অফিসারের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হল।
এনসিবির তরফেও স্বীকার করে নেওয়া হয় যে আরিয়ান খান সহ গ্রেফতার করা ৬ জনের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করা সম্ভব হয়নি। এবার এনসিবির অন্তর্বর্তী রিপোর্টেও এবার তদন্তে বেনিয়মের কথা উল্লেখ করা হল। জানা গিয়েছে, তদন্তকারী সংস্থার আট অফিসার, যারা আরিয়ান খানের মাদক মামলায় যুক্ত ছিলেন, তাদের মধ্যে সাতজনের আচরণেই অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করা গিয়েছে।
বিষয়টিতে রাজনীতির ছায়া থাকার অভিযোগও উঠেছিল। বলা হয়েছিল, শাহরুখের ধর্মপরিচয়ের কারণেই তাঁর পুত্র এবং পরিবারকে ‘হেনস্থা’ করেছে ওই কেন্দ্রীয় সংস্থা। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ‘চক্রান্ত’ করেছে, এমন অভিযোগও উঠেছিল। শাহরুখ নিজে ওই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। তবে সম্প্রতি তাঁর স্ত্রী গৌরী খান একটি টেলিভিশন টক-শোয়ে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। তার পাশাপাশিই চলছিল ওই ঘটনাপ্রবাহে বিশেষ তদন্তকারী দলের অন্তর্তদন্ত।
সিটের তরফে সম্প্রতিই দিল্লিতে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়। এনসিবি সূত্রের খবর, সিট এনসিবির তদন্তে একাধিক বেনিয়ম খুঁজে পেয়েছে। আধিকারিকদের উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে।জানা গিয়েছে, কর্ডেলিয়া প্রমোদতরী থেকে মাদক উদ্ধার মামলায় মোট ৬৫ জনের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছিল। এরমধ্যে অনেকেই পরবর্তী সময়ে নিজেদের বয়ান পরিবর্তন করেছিলেন।মাদক মামলায় অভিযুক্ত আরিয়ান খান সহ বেশ কয়েকজনকে ইচ্ছাকৃতভাবে নিশানা বানানো হয়েছিল বলেই মনে করছে সিট। যে আটজন আধিকারিকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।