সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এখন বিসিসিআইয়ের প্রাক্তন সভাপতি। মন খারাপ ভক্তদের। সেই প্রভাব এ বার টলিপাড়াতেও। বন্ধ হয়ে গেল সৌরভকে নিয়ে ছবি ‘কলকাতা ৯৬’-এর কাজ।১৯৯৬ সালে অভিষেক টেস্টে লর্ডসে শতরান, ২০০২ সালে ন্যাটওয়েস্ট ট্রফি জিতে লর্ডসের বারান্দায় জামা খুলে ঘোরানো— সৌরভের সেই সব ‘দাদাগিরি’ এখনও ভোলেননি কেউই। সেই মুহূর্তগুলিই রুপোলি পর্দায় আনার স্বপ্ন দেখেছিলেন পরিচালক রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবির নাম ‘কলকাতা ৯৬’। প্রযোজনার দায়িত্বে ছিলেন রানা সরকার।বিসিসিআই থেকে সৌরভের বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ হয়ে গেল রাহুলের ছবির কাজ।
বাঙালিকে নতুন করে বিশ্বদরবারে পৌঁছে দিয়েছিলেন মহারাজ, সেই মুহূর্তই ছিল গল্পের কেন্দ্রবিন্দু। এই ছবির হাত ধরে পরিচালক হিসাবে হাতেখড়ি হতে চলেছিল রাহুলের। এমনকি ছেলে সহজকেও একটি চরিত্রে আনবেন বলে ঠিক করেছিলেন রাহুল। সবটাই এখন বিশ বাঁও জলে।
অনেকে বলছেন এমনটাই হওয়ার ছিল।সৌরভ নাকি ব্যাকডোর খুব ভালো বোঝেন।রাজনীতির ময়দানে না নেমে কিভাবে রাজনৈতিক সুবিধা নিতে হয় তা নাকি তাঁর মত ভালো জানেন খুব কম লোক। এক সময় বামেদের সঙ্গে তাঁর দহরমহরম ভালোই ছিল। এখন তার জন্য গলা ফাটাচ্ছেন স্বয়ং দিদিমনি। অমিত শাহের সঙ্গেও তাঁর অত্যন্ত ভালো সম্পর্ক। বাংলার রাজনিতীর ময়দানে তাঁকে নাকি নামাতেও চেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু বাংলার পিচ দেখে নাকি তিনি রাজি হননি।রাজনৌতিক অপশন বেছে নিতে তিনি ভুল করেন না।
রাজনীতির বাইরে থেকে আর একজন এরকম রাজনৈতিক অপশন সুনিপুনভাবে বেছে নেন, তিনি বাংলার ছেলে নন তবে বাংলার জামাই। তাঁর নাম অমিতাভ বচ্চন। কখনো কংগ্রেস, কখনো সপা তো কখনো বিজেপি ঘনিষ্ঠ বচ্চন এই ৮০ বছরেও দিব্যি খেলে যাচ্ছেন। অনেকে বলছেন সৌরভের ভিতরেও এই গুন্ আছে। তিনি খানিকটা হাওয়া মোরগ গোছের। সৌরভের গতিবিধির দিকে নজর রাখলেও যে কেউ বুঝে নিতে পারবে বং রাজনীতি ও কেন্দ্রের রাজনীতির গতিপথ।