পাকিস্তান: ১৫৯/৮ (শান-৫২*, ইফতিকার-৫১, অর্শদীপ-৩২/৩, হার্দিক-৩০/৩)
ভারত: ১৬০/৬ (হার্দিক-৪০, কোহলি-৮২*)
এ দিন মেলবোর্নের মহারণে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের জয়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছেন অনেকেই। বাবর ও রিজওয়ানের উইকেট-সহ মোট ৩টি উইকেট সংগ্রহ করেন অর্শদীপ সিং। হার্দিক পান্ডিয়া ৩টি উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ব্যাট হাতে ৪০ রানের মূল্যবান যোগদান রাখেন।
টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ১৫৯ রানে আটকে যায় পাকিস্তান। ভারতের জয়ের জন্য দরকার ১৬০। সামনে কার্যত রানের পাহাড়। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১৬০ রান তাড়া করতে নেমে একটা সময় ৩১ রানে চার উইকেট পড়ে গিয়েছিল ভারতের। সেখান থেকে ভারতের ইনিংসের হাল ধরেন হার্দিক পান্ডিয়া এবং বিরাট।
টিম ইন্ডিয়ার জয়ের পিছনে বিরাট কোহলির ভূমিকা যে সব থেকে বেশি, সেটা আলাদা করে বলে দেওয়ার প্রয়োজন হয় না।নাটকীয় ভাবে শেষ ৫ বলে জয়ের জন্য ১৬ রান দরকার ছিল ভারতের। নওয়াজের দ্বিতীয় বলে ১ রান নেন দীনেশ কার্তিক। তৃতীয় বলে ২ রান নেন কোহলি। তার পরেই নো-বলে ছক্কা হাঁকান কোহলি। পরে একটি ওয়াইড বল করেন নওয়াজ। চতুর্থ বলে কোহলি বোল্ড হন বটে, তবে ফ্রি-হিট থাকায় তিনি আউট হননি। বল স্টাম্পে লেগে উইকেটকিপারের পিছনে চলে যায়। কোহলি ও কার্তিক দৌড়ে ৩ রান সংগ্রহ করেন সেই বলে।
জয়ের জন্য শেষ ২ বলে ২ রান দরকার ছিল ভারতের। পঞ্চম বলে স্টাম্প-আউট হন কার্তিক। তিনি ২ বলে ১ রান করেন। ব্যাট করতে নামেন অশ্বিন। শেষ বলে ভারতের দরকার ছিল ২ রান। নওয়াজ ওয়াইড করতেই স্কোর লেভেল হয়ে যায়। শেষ বলে জিততে ১ রান দরকার ছিল ভারতের। শেষ বলে চার মেরে ভারতকে ম্যাচ জেতান অশ্বিন।