Many died in Bangladesh due to the effects of Cyclone Sitrang

Cyclone Sitrang: মাঝরাতেই বাংলাদেশে আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং, অন্তত ১১ জনের মৃত্যু

আশঙ্কা সত্যি করে সোমবার মাঝরাতেই বাংলাদেশের (Bangladesh) উপকূলবর্তী অঞ্চলে আছড়ে পড়ল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং (Cyclone Sitrang)। ঝড়বৃষ্টিতে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। রাতভর তাণ্ডব দেখানোর পর শক্তি হারিয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে সিত্রাং। তবে তার চোখরাঙানি থেকে রক্ষা পেয়েছে এপার বাংলা। বঙ্গে (West Bengal) পুরোপুরি কেটে গিয়েছে সিত্রাংয়ের প্রভাব। মঙ্গলবার সকাল থেকেই রোদ ঝলমলে আবহাওয়া।

ওপার বাংলার আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, শুরু থেকেই সিত্রাং এলোমেলো আচরণ করতে শুরু করে। বারবার পাল্টাতে থাকে গতিপথও। তাই এর গতিবিধি ঠিকমতো বোঝা যায়নি। আসতে পথে বৃষ্টি ঝরিয়ে নিজের শক্তি ক্ষয় করেছে। এসেছে দ্রুত, চলেও গেছে দ্রুত। রাত সাড়ে নয়টার দিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কক্সবাজারে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ হয় ঘণ্টায় ৭৪ কিলোমিটার। এর কাছাকাছি সময়ে চট্টগ্রামেও বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ৭৪ কিলোমিটার, ভোলায় ৬৫ কিলোমিটার। রাত আড়াইটায় গোপালগঞ্জে সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ৭৫ কিলোমিটার।

আরও পড়ুন: Xi Jinping: গৃহবন্দি চিনের প্রেসিডেন্ট জিংপিং? চিনে সেনা অভ্যুত্থান? গণহারে বিমান বাতিল হতেই শুরু গুঞ্জন

বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, আজ সকাল ছয়টায় সুস্পষ্ট লঘুচাপ হিসেবে সিত্রাংয়ের অবস্থান ছিল নেত্রকোনা ও এর কাছাকাছি এলাকায়। ছয় ঘণ্টার মধ্যে এটি শক্তিহীন হয়ে পড়বে।

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং দেশজুড়ে কেড়ে নিয়েছে ১১ জনের প্রাণ। এর মধ্যে গতকাল সাতজনের মৃত্যু হয়েছে গাছের চাপায়; দুজনের মৃত্যু হয়েছে নৌকাডুবিতে। আর মঙ্গলবার একজন জলে ডুবে ও একজন গাছ চাপায় মারা গেছে। তবে এখনও পর্যন্ত ঝড়ের সার্বিক ক্ষয়ক্ষতির চিত্র পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন: Rishi Sunak-ই ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রী পদে বসছেন, দীপাবলির রাতে এল সুখবর