বৃহস্পতিবার হরিয়ানায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ডাকা বৈঠকে যোগ দিতে যাওয়ার কথা ছিল মমতার। কিন্তু রাজ্যের প্রতিনিধি হিসেবে এডিজি পদপর্যাদার এক অফিসারকে সেখানে পাঠিয়ে, বৈঠক এড়িয়েছেন তিনি। বরং এ দিন কালীঘাটের বাড়িতে ভাইফোঁটা নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন তিনি। আর সেখানে মুকুল এবং শোভনের পদার্পণই এখন আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে ভাইফোঁটায় হাজির শোভন-বৈশাখী। এদিন ভাইফোঁটা নিতে মমতার বাড়িতে যান মুকুল রায়ও। বিজেপি থেকে দূরে শোভনকে ভাইফোঁটা দিলেন মমতা, ভাইফোঁটা দিলেন বিজেপি ফেরত মুকুল রায়কেও। তবে কি ফের সক্রিয় রাজনীতিতে শোভন-মুকুল? পুরোনো সৈনিকদের প্রতি ‘মমতা আস্থা’য় জল্পনা তুঙ্গে।বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ ফোঁটা নিতে মমতার কালিঘাটের বাড়িতে পৌঁছন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার হাতে ফোঁটা নিলেন মুকুল রায়-ও।
২০১৮ সাল থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় শোভনের। তারপর ২০১৯ সালে বৈশাখীকে নিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। যদিও বিজেপিতে খুব একটা সক্রিয় কোনওদিনই সেখানে দেখা যায়নি শোভনকে। সম্প্রতি নন্দীগ্রাম আন্দোলন নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে করা শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যেরও কড়া সমালোচনা করেন তিনি। যার জেরে তখন থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়, তবে কি ‘ঘর ওয়াপসি’ হয়ে চলেছে শোভনের? আর তারপরে শোভনের এদিনের (Bhai Phota 2022) পদক্ষেপ সেই জল্পনাকেই আরও উস্কে দিল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
এদিন হাজির থাকতে পারলেন না পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি এখন কারাবাসে। রয়েছেন জেলের বন্ধ কুঠুরিতে। জেলে বসে হয়ত তিনি এই দিনটির কথা ভেবে দীর্ঘশ্বাস ফেলেছেন।
রাবরই ভাইফোঁটায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে ফোঁটা নিতে যেতেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। তবে, বিগত কয়েক বছরে সেই পরম্পরায় ছন্দপতন হয়। যদিও তারমাঝেও ২০১৯ সালে ভাইফোঁটার দিন ফোঁটা নিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি গিয়েছিলেন শোভন। এতদিন পর কী কথা হয় মমতা আর শোভনের মধ্যে? উত্তরে শোভন জানান, ‘দিদির সঙ্গে কথা তো একান্তই দিদি ও আমার মধ্যে।’ বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দিদি ও শোভনের পারস্পরিক টান অটুট।