মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) কথা অনুযায়ী স্কুলে স্কুলে তৈরি হতে চলেছে জয় হিন্দ বাহিনী। সূত্রের খবর, বুধবার জেলা শাসকদের সঙ্গে এই প্রসঙ্গে বৈঠক হতে চলেছে শিক্ষা দপ্তরের।
জানা গিয়েছে, প্রত্যেক জেলাশাসক ভার্চুয়াল মাধ্যমে এই বৈঠকে উপস্থিত হবেন। আগে নেতাজির আদর্শে যুব সমাজকে অনুপ্রাণিত করে তুলতেই এই বাহিনী গঠনের ঘোষণা করেন মমতা। রাজ্যের স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে এই বাহিনী গঠন করা হবে এনসিসির ধাঁচে। প্রাথমিক ভাবে চারটি জোনে ভাগ করে জয় বাহিনী গঠনের রূপরেখা আঁকা হয়েছে। কলকাতা, ব্যারাকপুর, জঙ্গলমহল ও শিলিগুড়িতে প্রাথমিক ভাবে গড়ে তোলা হবে এই বাহিনী।
এনসিসির ট্রেনিং অনুযায়ী, জয় হিন্দ বাহিনীর সদস্যরাও ট্রেনিং পাবেন। জয় হিন্দ বাহিনী গঠনের লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই প্রতিটি জেলায় বিশেষ কমিটি তৈরি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, সেই কমিটির মাথায় থাকবেন এক একজন জেলাশাসক। এছাড়াও এই কমিটিতে প্রতি জেলার ডি আই থেকে শুরু করে স্কুল দপ্তরের আধিকারিকরাও থাকবেন।
আরও পড়ুন: ‘বিরিয়ানিতে কমছে পুরুষত্ব’! আজব দাবি ‘ঘাসফুলি’ রবীন্দ্রনাথের, বন্ধ করলেন ২ দোকান
সরকারি স্কুলের নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়ারা এই জয় হিন্দ বাহিনীতে নাম লেখাতে পারবে বলে জানা যাচ্ছে। আপাতত জানা গিয়েছে, এই জয়হিন্দ বাহিনীর মূল উদ্দেশ্য, সাধারণ মানুষের মধ্যে মানবাধিকার, আইন শৃঙ্খলা, নাগরিক অধিকার নিয়ে সচেতনতা বাড়ানো এবং পিছিয়ে থাকা মানুষদের উন্নয়নে এগিয়ে যাওয়া। সব মিলিয়ে রাজ্য সরকার এবার দ্রুত তৈরি করতে চলেছে জয় হিন্দ বাহিনী।
প্রসঙ্গত, বাংলার রাজনীতিতে বারবার ফুরেফিরে চলে আসেন নেতাজি। বিজেপি থেকে তৃণমূল, নেতাজি আবেগে শান দেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করে না কোনও দলই। এই আবহে গত ২৩ জানুয়ারি রেড রোডের অনুষ্ঠান থেকে জয় হিন্দ বাহিনি গঠনের কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে স্কুলে এই বাহিনি গঠন করার কথা বলেছিলেন তিনি। সেই ঘোষণা বাস্তবায়িত করার পথে এক ধাপ এগোলেন মমতা।
আরও পড়ুন: নভেম্বরের শুরুতেই শিরশিরে অনুভূতি, জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়বে কবে জানাল হাওয়া অফিস