শুভেন্দু অধিকারীকে(Suvendu Adhikari) আগেই মনে ধরেছে বিজেপির।সুকান্তকে সরাতে তাদের আপত্তি নেই। কিন্তু বাধ সাধছে কেশব ভবন। আরএসএস চাইছে আদি বিজেপির কাউকে সভাপতি করা হোক। কোনও দলবদলু বিজেপির রাজ্য সভাপতির পদে বসুক তা চাইছে না আরএসএস । দিল্লি অবশ্য শুভেন্দু অধিকারীকেই রাজ্য সভাপতি করার ক্ষেত্রে সবুজ সংকেত দিয়ে দিয়েছে।
সুকান্ত মজুমদারকে(Sukanta Majumdar) বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি পদে রাখতে চায় না দিল্লির শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু শুভেন্দুর ক্ষেত্রে আরএসএস (RSS) আবার নারাজ হলেও, শুভেন্দুর বিকল্প কোনও নামও দিল্লিকে দিতে পারছে না কেশব ভবন। দিলীপ শিবিরও চাইছে সভাপতি বদল হলে সেখানে আদি বিজেপির কেউ বসুক।
কেশব ভবনের মন পেতে আরও উগ্র হিন্দুত্ব দেখাতে চাইছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিভিন্ন কর্মসূচিতে ভাষণ দিতে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে উগ্র হিন্দুত্বের পক্ষে তাঁকে সওয়াল করতে দেখা যাচ্ছে। সুকান্ত সভাপতি পদ থেকে সরছেন এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরই শুভেন্দুর সভাপতি হওয়া আটকাতে প্রবল চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আদি বিজেপি শিবির।
আদি বিজেপিরা মনে করছে, শুভেন্দু রাজ্য সভাপতি হলে দলবদলু অর্থাৎ তৃণমূলের হাতেই দলের রাশটা চলে যাবে। যারা পরে দলে এসেছে বা কোনও দলবদলু, এমনকী যাদের বিরুদ্ধে স্থানীয় থেকে রাজ্যস্তরে একসময়ে বিজেপির অভিযোগই ছিল। তারাই দলে ঢুকে ছড়ি ঘোরাবে।
তাছাড়া নারদে স্পষ্ট ফুটেজ খেয়ে রয়েছেন শুভেন্দু। যদি তৃণমূলীদের নারদে ধরতে হয়, তাহলে কোন যুক্তিতে শুভেন্দু পার পায় ? এটি যুক্তির কথা। আইন যুক্তিতে চলে, এজেন্সিতে নয়। ফলে একটা কাঁটা শুভেন্দু মাথাতে পাকাপাকি রয়েছে। আর সে কারণেই নিজেকে বিজেপির অনুগত সৈনিক হিসাবে পরামনা করতে মরিয়া তিনি।শুভেন্দুর তুলেন এক্ষেত্রে হতে পারে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার সঙ্গে। একদা কংগ্রেসের মন্ত্রী আজকের অসমে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী। শুদু তা নয় গেরুয়াপন্থীদের মন জয়ের চেষ্টায় তিনি যোগী আদিত্যনাথকেও চাপিয়ে গিয়েছেন। ওই একই পন্থা নিয়েছেন একদা ঘাসফুলি শুভেন্দু।