আচমকা হিসেবের বাইরে অর্থের প্রয়োজন হয় সকলেরই। কিছু কিছু সময় চিকিৎসার জন্যও দরকার পড়ে থোক টাকার। নির্দিষ্ট আয়ের বাইরে এমন খরচ পড়ে গেলে চিন্তায় অনেকরই মাথার চুল সাদা হয়ে যায়। তবে জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞরা বলছেন কিছু নিয়ম মেনে কয়েকটি কাজ করলে হঠাৎ করেই হয়ে যেতে পারে অর্থের সংস্থান।
উদাহরণ হিসেবে লবঙ্গ দিয়ে কর্পূর পোড়ানোর কথা বলা যায়। লবঙ্গ ও কর্পূর একসঙ্গে পোড়ানো খুবই শুভ বলে মনে করা হয়। এই দু’টিকে জিনিসকে একসঙ্গে পোড়ালে ঘরে সুখ শান্তি যেমন আসে তেমনই অনেক নেতিবাচক শক্তিও ঘর থেকে ও জীবন থেকে দূরে চলে যায়। আসুন লবঙ্গ এবং কর্পূর একসঙ্গে পোড়ানোর আর কী কী উপকারিতা রয়েছে তা জানা যাক।
লবঙ্গ ও কর্পূর একসঙ্গে পোড়ানোর উপকারিতা
• রাতে ঘুমানোর আগে একটি রূপার পাত্রে লবঙ্গ এবং কর্পূর একসঙ্গে নিয়ে পোড়ালে গৃহস্বামী বা গৃহকর্ত্রীর অর্থের অভাব হয় না। হঠাৎ করে টাকা পেতে শুরু করেন ওই ব্যক্তি।
• বাড়িতে বেশ কয়েকদিন ধরেই নানা অশুভ কাণ্ড ঘটছে? হাত থেকে টাকা বেরিয়ে যাচ্ছে জলের মতো? পরিবারে কেউ সুখে নেই? সকলের মধ্যে ঝগড়াঝাটি হচ্ছে? এর কারণ হল বাড়িতে কোনও অশুভশক্তির প্রবেশ ঘটেছে। তাই আপনি যদি আপনার বাড়ি থেকে নেতিবাচক শক্তি দূর করতে চান, তাহলে প্রতিদিন বাড়িতে কর্পূর দিয়ে লবঙ্গ পোড়ান। এর ফলে পরিবারের সদস্যদের মধ্যেও পারস্পরিক ভালবাসা বজায় থাকবে।
• দীর্ঘদিন ধরে কোনও অসুখ বা ক্রনিক ডিজিজ-এ ভুগছেন? আপনি যদি সেই রোগ থেকে মুক্তি পেতে চান তবে লবঙ্গ দিয়ে কর্পূর জ্বালিয়ে দিন। এই পদ্ধতিতে বহু রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
• আপনি যদি একটানা কোনও সমস্যায় থাকেন বা বারংবার কোনও ঝমেলায় ফেঁসে যেতে থাকেন তাহলে প্রতি মঙ্গলবার হনুমান মন্দিরে গিয়ে ৫টি লবঙ্গ ও কর্পূর জ্বালান। এই প্রক্রিয়ায় আপনি দ্রুত সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। সুখ ও শান্তি পেতে গৃহেও লবঙ্গ ও কর্পূর পোড়ার ধোঁয়া ব্যবহার করুন। আপনি সারা ঘরে ধোঁয়া ছড়িয়ে দিন। দেখবেন ধীরে ধীরে সমস্ত ঝামেলা থেকে আপনি মুক্তি পেয়ে যাচ্ছেন।