চলতি বছরের ডিসেম্বর মাস থেকেই রাজ্যের সব ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের(Small and Medium Industry) প্রত্যেক শ্রমিককে পে-স্লিপ(Pay Slip) দিতে হবে বলে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদি এই নির্দেশ না মানা হয় তাহলে আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে ওই সব শিল্পসংস্থার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে শুরু করে দেবে রাজ্যের শ্রম দফতর।
রাজ্য সরকারের এই নির্দেশ কার্যকর হলে সন্দেহ নেই উপকৃত হবেন কয়েক লক্ষ শ্রমিক ও কর্মচারী(Labours and Workers)। কেননা বাংলার বুকে এই ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সংখ্যা সব থেকে বেশি। সেখানে কর্মসংস্থানের হারও দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। কিন্তু এতদিন সেই সব শিল্প সংস্থায় পে-স্লিপ দেওয়া হত না। তার ফলে শ্রমিক ও কর্মচারীরা জোর গলায় যেমন বলতে পারতেন না যে তাঁর ওই সংস্থার কর্মী তেমনি তাঁরা বঞ্চিত হতেন প্রায় সব রকমের সুযোগ-সুবিধা থেকে। মুনাফা লুঠতেন মালিকেরা। এবার সেই ছবি বদলাতে চলেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকারের সিদ্ধান্তে।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: বাজালেন ঢোল! রজনীকান্তের সঙ্গে কথা, চেন্নাইয়ে ভিন্ন মুডে মমতা
পে-স্লিপের গুরুত্ব কোথায়?
বেসরকারি সংস্থায় যে সব শ্রমিক ও কর্মচারীরা কাজ করেন তাঁরা যদি পে-স্লিপ পান তাহলে প্রথমত তাঁরা প্রমাণ করতে পারবেন যে তাঁরা ওই সংস্থার কর্মী। দ্বিতীয়ত, পে-স্লিপ দিলে সেখানে ওই শ্রমিক বা কর্মচারীর বেতন কত তা জানাতে হবে। তৃতীয়ত, সেই পে-স্লিপে উল্লেখ করতে হবে ওই শ্রমিক বা কর্মচারী প্রভিডেন্ট ফাণ্ড বা পিএফ এবং ইএসআই বা মেডিকেল সুবিধা পাচ্ছেন কিনা। পেলে প্রতি মাসে কত টাকা তাঁর বেতন থেকে কাটা হচ্ছে তাও জানাতে হবে।
তিনি যদি ডিএ বা অনান্য আর্থিক সুযোগ-সুবিধা পান তাহলে তাও জানাতে হবে ওই পে-স্লিপে। এতদিন এই পে-স্লিপ দেওয়া বাধ্যতামূলক না থাকায় বেসরকারি শিল্প সংস্থার মালিকেরা খাতায় কলমে কর্মীদের সব সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কথা দেখালেও শতকরা ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে দেখে যেত ওই সব সংস্থার শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মীরা সব রকমের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতেন। কোথাও কোথাও কম দিয়ে খাতায় কলমে বেশি বলেও দেখানো হত। এবার এই ছবিটাই বদলে যেতে চলেছে বঙ্গে।
আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: ‘গেট ওয়েল সুন’ কার্ড নিয়ে শুভেন্দুর দরজায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ, আটকাল পুলিশ