শীতের সময় নিয়মিত রোদ (Winter Sun) পোহালে পেশীর সচলতা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে দেহের ভেতরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি দূর হয়। আর জয়েন্ট, ঘাড় এবং গোড়ালির কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও আরো নানা উপকার মেলে।
সকালে তাড়াতাড়ি উঠে প্রতিদিন কমপক্ষে ১৫-২০ মিনিটের জন্য সকালের মিঠে রোদে থাকতে পারেন। তাতে কী কী উপকার পাবেন, তা এখানে দেওয়া রইল…
ভিটামিন ডি: শরীরের ভিটামিন ডি-এর ৯০ শতাংশই আসে সূর্যের আলো থেকে। বয়স যত বাড়ে ভিটামিন ডি-এর মাত্রা তত কমে। রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রক্রিয়াও তুলনামূলকভাবে কমতে শুরু করে। সেক্ষেত্রে প্রাকৃতিক ভাবে শরীরে ভিটামিন-ডি এর মাত্রা বৃদ্ধি করতে প্রতিদিন শীতকালে রোদে মধ্যে ১৫ মিনিটের জন্য থাকলেই যথেষ্ট।
ওজন নিয়ন্ত্রণ: এডিনবার্গ এবং সাউদাম্পটন ইউনিভার্সিটির গবেষকদের মতে, সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি যে শুধুই ক্ষতিকর তা মোটেই নয়, কারণ এই ইউভি রশ্মিই শরীরে নাইট্রিট অক্সাইড মুক্ত করতে সাহায্য করে। এটি এমন একি প্রোটিন, যা টাইপ-২ ডায়াবেটিসের বিকাশকে রোধ করে। ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য এর উপকারী দিক রয়েছে।
আরও পড়ুন: Toothbrush: দাঁত ভালো রাখতে চান? টুথব্রাশের যত্ন নিন এই উপায়ে
ভাল ঘুম ও মেজাজ ঠিক রাখে: মেজাজ ঠিক করতেও রোদ পোহানোর দারুণ গুণ রয়েছে। বিভিন্ন গবেষণায় জানা গিয়েছে, শীতে রোদে ১৫ মিনিটের মত থাতকলে শরীরে ভিটামিন ডি বৃদ্ধি পায়। এছাড়া রোদ গায়ে লাগলে শরীরে মেলাটোনিন হরমোন তৈরি হয়। তার জেরে খুব ভাল ঘুম হয়। মানসিক চাপ কমে যায়। মেজাজ থাকে ফুরফুরে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সমীক্ষা অনুসারে, উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা যদি ২০ মিনিটের মত রোদ পোহান তাহলে একঘণ্টার মধ্যেই রক্তচাপের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়।
অন্যান্য: ফাঙ্গাল ইনফেরশন হলে কয়েকমিনিটের জন্য রোদে বসুন, তাতেই শরীর অনেকটা চাঙ্গা থাকবে। ত্বকের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে রোদে বসে থাকা গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া জণ্ডিসের মত রোগ নিরাময়ের জন্যও বেশ উপকারী।
চিকিৎসকরা বলছেন, দিনে মাত্র ২৫ থেকে ৩০ মিনিট গায়ে রোদ লাগালেই হবে। বিশেষ করে ভোরে সূর্য ওঠার পরে এবং সূর্য ডোবার আগের সময় গায়ে রোদ লাগানোর একদম সঠিক ও সবচেয়ে ভালো সময়। তবে দিনে যেকোনও সময়ই এই কাজে ২৫ থেকে ৩০ মিনিট দেওয়া যেতে পারে।
আরও পড়ুন: Siddhaanth Surryavanshi: মৃত্যু অভিনেতা সিদ্ধান্ত সূর্যবংশীর, জিমই কি তবে সর্বনাশ ডেকে আনছে?