Mamata Banerjee Upset On Reffer Tendency Of A Part Of Govt Hospitals

Mamata Banerjee: হাসপাতালে রেফার রোগ সারাতে কড়া দাওয়াই মুখ্যমন্ত্রীর, নামতে পারে শাস্তির খাঁড়া

রাজ্যের একাধিক জেলার সরকারি হাসপাতালের ‘রেফার রোগ’ নিয়ে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলাগুলি থেকে শহর কলকাতার হাসপাতালে রেফারের প্রবণতা বাড়তে থাকায় সোমবার নবান্নের বৈঠকে যারপরনাই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ‘রেফার রোগ’ কমাতে স্বাস্থ্যসচিবকে আরও কড়া হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘রেফারের জেরে গর্ভবতীর মৃত্যু হলে যে রেফার করবে দায় তার’, সাফ বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর।

জেলা থেকে ক্রমাগত রোগী রেফার নিয়ে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। জেলা হাসপাতালের উদ্দেশে তাঁর প্রশ্ন, “রেফার করা আপনারা কবে বন্ধ করবেন? প্রসূতিদেরও রেফার করা হচ্ছে।” প্রসববেদনা নিয়ে ৩-৪ ঘণ্টার রাস্তা পার করার জেরে বহু প্রসূতির মৃত্যু হচ্ছে বলেও দাবি মমতার। এই ‘রোগ’ সারানোর দাওয়াই হিসেবে স্বাস্থ্যসচিবকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি স্বাস্থ্য কমিশনের সাহায্যে রেফার নীতি তৈরির পক্ষেও সওয়াল করেন মমতা। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্নের জবাবে নারায়ণস্বরূপ নিগম জানান, রেফার রোগ আগের চেয়ে অনেকটাই কমেছে রাজ্য। ৮ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ৪ শতাংশ। সমস্যা আরও কমাতে দ্রুত পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

এদিন স্বাস্থ্যকর্তাদের (health officials) একহাত নেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানতে চান, কর্তারা কখনও সারপ্রাইজ ভিজিট দেন কি না। তিনি বলেন, আপনারা কখনও কখনও ছদ্মবেশে হাসপাতাল ভিজিট করবেন। কখনও চাদর গায়ে দিয়ে, কখনও নকল দাঁড়ি, গোঁফ লাগিয়ে ভিজিট করুন। আগে একজন স্বাস্থ্যকর্তা ছিলেন, তিনি এভাবে আচমকা হাসপাতাল পরিদর্শন করতেন।

মুখ্যমন্ত্রীর হুমকি, ‘স্বাস্থ্যক্ষেত্রে আমি কোনও গাফিলতি (negligence in healthcare ) সহ্য করব না। কেন এত নেগলিজেন্স হবে। তাঁর অভিযোগ, জেলায় জেলায় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড(Swasthya Sathi Card) নিয়ে নানা জালিয়াতি হচ্ছে। আমার কাছে সব খবর আসছে। এ ব্যাপারে কিন্তু সতর্ক থাকতে হবে। যারা জালিয়াতি করছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে। নিয়মিত নজরদারি চালাতে হবে। স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে কোনও অনিয়ম আমি হতে দেব না।’

পাশাপাশি, কলকাতার এনআরএস ও এসএসকেএম হাসপাতালে শিশুদের হার্টের অপারেশন চালুর পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী, যাতে শিশুসাথী কার্ডের টাকা বেসরকারি হাসপাতালে না যায়। বেশকিছু এলাকায় স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর কাজ বাকি রয়েছে। সেই কাজ সম্পন্ন করতে সাংসদ তহবিলের টাকা ব্যবহারের নির্দেশ দিলেন তিনি।

এদিন স্বাস্থ্যসচিবকেও গাফিলতির বিরুদ্ধে কড়া হওয়ার পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রীর। তাঁর কথায়, “তুমি খুব উইক। স্ট্রং হও। প্রয়োজনে নরম আবার প্রয়োজনে কড়া হও।”