প্রাচীন যুগ থেকেই কাজলের ব্যবহার বহুল প্রচলিত। মহিলাদের সাজসজ্জার একটি বিশেষ অংশ এটি। চোখের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে ও আরও আকর্ষমীয় করে তুলতে মহিলারা কাজল লাগাতে ভোলেন না কখনও। অন্যদিকে ছোট্ট শিশুদেরও চোখের কাজল পরানো হয়। চোখের সমস্যা থেকে রক্ষা করতে ও কুনজর এড়ানোর জন্য ছোট শিশুকেও কাজল পরানো হয়। জ্যোতিষশাস্ত্রেও কাজলের অনেক ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। কাজল শুধু সৌন্দর্যই বাড়ায় না, কাজলের অনেক অলৌকিক প্রতিকারও রয়েছে।
জ্যোতিষশাস্ত্রে বলা হয়েছে যে তিনটি অশুভ গ্রহ- শনি, রাহু এবং কেতুর দোষ এড়াতে কোনও ব্যক্তির জন্য কাজলের ব্যবহার অত্যন্ত উপকারী বলে মনে করা হয়। কাজল ব্যবহার করলে এই তিনটি গ্রহের নেতিবাচক প্রভাব কমে যায়। রাহু কেতু এবং শনি যদি কারও জন্মকুণ্ডলীতে বিরূপ প্রভাবে থাকে, তবে লাল কিতাব অনুসারে, কাজল এবং সুরমাকে নির্জন স্থানে পুঁতে রাখলে তাদের অশুভ প্রভাব কমে যায়।
আরও পড়ুন: Wedding Season: নবদম্পতির ঘর এ ভাবে সাজালে সুখ উপচে পড়বে
লাল কিতাবে বলা হয়েছে, শিশুদের চোখের ত্রুটি বা সমস্যা থেকে রক্ষা করতে তাদের কাজল লাগানো উচিত। সাধারণত শিশুদের কপালেও কাজল লাগানো হয়, তবে এটি একেবারেই ঠিক নয়। লাল কিতাবের মতে, শিশুদের চোখের ত্রুটি থেকে রক্ষা করতে তাদের কানের পিছনে কালো টিকা লাগানো উচিত। লাল কিতাবের মতে, প্রতিদিন কাজল লাগালে তিনটি গ্রহের বিরূপ প্রভাব কমে যায়। এছাড়াও কাজল লাগালে আপনাকে নেতিবাচক শক্তি থেকে রক্ষা করে। আসলে, জ্যোতিষশাস্ত্রে রাহুর সম্পর্ক নেতিবাচক শক্তির সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
পাশাপাশি যদি কোনও ব্যক্তির কর্মক্ষেত্রে সমস্যা হয় বা চাকরি হারানোর আশঙ্কা থাকে, তাহলে কাজলের একটি বড় পিণ্ড নিয়ে শনিবার নির্জন জায়গায় মাটিতে বা শক্ত কোনও জায়গায় চেপে দিন। এটা করলে আপনার উপকার হবে।
আরও পড়ুন: Vastu Tips: পার্সে এই জিনিসগুলি রাখলে রাতারাতি হবেন কোটিপতি!