ফের শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যাকাণ্ডের ছায়া। ঘটনাস্থলও সেই দিল্লি (Delhi)। লিভ-ইন সঙ্গীর (man kills live-in partner) মুখ ছুরি দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে দেওয়ার (slashed face) পর গলার নলি কেটে (slitting throat) তাঁকে খুন করার অভিযোগ উঠল প্রেমিকের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার পশ্চিম দিল্লির তিলক নগর এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত প্রেমিককে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
মৃতার নাম রেখা, তাঁর বয়স ৩৫ বছর। অভিযুক্ত, অর্থাৎ রেখার লিভ ইন সঙ্গী মনপ্রীত সিং-এর বয়স ৪৫ বছর। সে আদতে পাঞ্জাবের পাতিয়ালার বাসিন্দা। ঘটনার একদিনের মধ্যেই পাতিয়ালা থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সূত্রের খবর, রেখার ১৬ বছর বয়সি মেয়েকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দেয় অভিযুক্ত।
নাবালিকার বয়ান থেকে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল ছ’টা নাগাদ মাইগ্রেনের জন্য কিশোরীকে কয়েকটি ওষুধ দিয়ে তা খেয়ে ঘুমোতে বলে মনপ্রীত। ঘুম থেকে ওঠার পর মাকে দেখতে না পেয়ে মানপ্রীতকে সে ব্যাপারে জিজ্ঞেস করে কিশোরী। অভিযুক্ত জানায়, তার মা বাজারে গেছেন। কিছুক্ষণ পরেই বাড়ির একটি ঘরে তালা মেরে গাড়ি নিয়ে চলে যায় মনপ্রীত। তারপর
তারপর সন্দেহের বশে খুড়তুতো দাদাকে ফোন করে সবটা জানায় রেখার মেয়ে। তাঁরা খবর দেন থানায়। ঘরের দরজা ভেঙে রেখার গলার নলি কাটা মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। দেখা যায়, তাঁর মুখ ছুরির আঘাতে ক্ষতবিক্ষত করে দেওয়া হয়েছে। তাঁর ডান হাতের অনামিকাটিও কেটে নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: Heart Attack: ভাগ্নের বিয়েতে বিয়েতে নাচতে নাচতেই মৃত্যু হল মামার, সাক্ষী ক্যামেরা
এর পরই পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু নামে দিল্লি পুলিশ। প্রথমেই রেখার কিশোরী মেয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে মনপ্রীতের মোবাইল ট্র্যাক করে খোঁজার চেষ্টা করে পুলিশ। মোবাইল ফোনের লোকেশনের ভিত্তিতে টোল প্লাজার সিসিটিভি ভিডিয়ো খতিয়ে দেখতে শুরু করেন তদন্তকারী দলের আধিকারিকরা। টোল প্লাজার ভিডিয়ো খতিয়ে দেখে পুলিশ বুঝতে পারে, পঞ্জাবের পাতিয়ালায় নিজের গ্রামের দিকে গিয়েছেন মনপ্রীত। সেখান থেকেই শুক্রবার তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
তাকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ির ব্যবসা করত অভিযুক্ত মনপ্রীত। এছাড়াও, সুদের কারবারি হিসেবেও লোকজনের কাছে নিজের পরিচয় দিত সে। এরপর তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ভুয়ো তথ্যের সাহায্যে চুরি করা গাড়ি বিক্রি করত অভিযুক্ত। পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, তার একাধিক অপরাধের ইতিহাস রয়েছে। মুক্তিপণের জন্য অপহরণ, খুনের চেষ্টা এবং অস্ত্র আইন মিলিয়ে মোট ৬টি অপরাধে তার যুক্ত থাকার খোঁজ পাওয়া গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ২০০৬ সালে বিয়ে করে মনপ্রীত। তার দুই ছেলে রয়েছে। ২০১৫ সালে রেখার সঙ্গে আলাপ হয় অভিযুক্তের। তারপর থেকেই একসঙ্গে থাকতে শুরু করে যুগল।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের সময় মনপ্রীত স্বীকার করেছেন, তিনি রেখার সঙ্গে সম্পর্কে আটকে পড়েছিলেন। নিজের স্ত্রী-সন্তানদের কাছে ফিরতে চাইছিলেন তিনি। আর সেই কারণে রেখার হাত থেকে পরিত্রাণ পেতে তিনি রেখাকে খুন করার সিদ্ধান্ত নেন।
আরও পড়ুন: Noida: প্রেমিকাকে বিয়ে করতে বান্ধবীকে খুন, ফুটন্ত তেলে বিকৃত করা হল মুখ