নতুন বছর শুরু হল রান্নার গ্যাসের (এলপিজি) বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের (১৯ কেজি) দাম বৃদ্ধি দিয়ে (LPG Price Hike)। সাত মাস পরে চড়ল হোটেল-রেস্তরাঁয় ব্যবহারের এই জ্বালানি। এর মধ্যে বরং কয়েক দফা কমানো হয়। সংশ্লিষ্ট মহলের অবশ্য দাবি, আশঙ্কাই সত্যি হয়েছে। গুজরাত-হিমাচলপ্রদেশের ভোট মিটতেই বেড়েছে বাণিজ্যিক গ্যাসের দর।
শনিবার মধ্যরাত থেকে সিলিন্ডার প্রতি ১৯ কেজির বাণিজ্যিক রান্নার গ্যাসের দাম বাড়ল ২৫ টাকা। কলকাতায় আগে ১৯ কেজির বাণিজ্যিক গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ছিল ১৮৪৪.৫০ টাকা। ২৫ টাকা বেড়ে তা হল ১ হাজার ৮৬৯ টাকা ৫০ পয়সা। দিল্লিতে সিলিন্ডারপ্রতি বাণিজ্যিক গ্যাসের নতুন দাম ১,৭৬৮ টাকা। মুম্বইয়ে সিলিন্ডারপ্রতি বাণিজ্যিক গ্যাসের দাম দাঁড়াল ১,৭২১ টাকা। সবচেয়ে বেশি দাম চেন্নাইয়ে। এই শহরে সিলিন্ডারপ্রতি গ্যাসের বর্তমান দাম ১৯১৭ টাকা।
আরও পড়ুন: Gujarat: মেয়ের অশ্লীল ভিডিও ছড়ানোর প্রতিবাদ, বিএসএফ জওয়ানকে পিটিয়ে খুন গুজরাটে
তেল, গ্যাসের মতো অত্যাবশ্যক জ্বালানির চড়া দর মূল্যবৃদ্ধির হারকে ঠেলে তুলেছে বলে অভিযোগ। মোদী সরকার বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের চড়া দরকে এ জন্য দায়ী করে। বিরোধীরা বারবার প্রশ্ন তুলেছে, সেই দাম নীচে নামলেও, দেশে তেলের দরে প্রভাব পড়েনি। এমনকি করোনার মধ্যে আমজনতার সুরাহা মেলেনি চড়া জ্বালানির ছেঁকা থেকে।
এ দিকে, মাসের শেষ দিনে পরের মাসের গ্যাসের দাম সংশোধনের রেওয়াজ বরাবরের। কিন্তু গত ক’বছরে মোদী সরকারের আমলে মাঝ মাসেও দর বদলেছে তেল সংস্থাগুলি। যেমন, মে মাসের প্রথম দিনে গৃহস্থের সিলিন্ডার না-বাড়লেও বাণিজ্যিকের দাম বেড়েছিল ১০০ টাকারও বেশি। তবে সেই স্বস্তি বেশি দিন থাকেনি। সাত দিন পরই এক লাফে ৫০ টাকা দামি হয় গৃহস্থের সিলিন্ডার। দর ছাড়ায় ১০০০ টাকা। ফের বাড়ে বাণিজ্যিক সিলিন্ডারও। সে মাসেই আরও এক দফা দাম বাড়ে গ্যাসের। এর পর থেকে বাণিজ্যিকের দাম কমলেও জুলাইয়ের মাঝামাঝি দামি হয় গৃহস্থের সিলিন্ডার। তখন থেকেই এখনও পর্যন্ত তা স্থির।
মাঝে অশোধিত তেল বাড়লেও, দেশে গ্যাসের দাম চড়েনি। বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, ভোটের দিকে তাকিয়ে তেল সংস্থাগুলিকে দর বৃদ্ধিতে সায় দেয়নি কেন্দ্র। ভোট মিটলেই বাড়বে। এখন দেখার নতুন বছরে গৃহস্থের জ্বালানির খরচ ফের চড়ে কি না।
আরও পড়ুন: Crime News: পর্ন ছবিতে স্ত্রীর মুখ! থানায় গিয়ে বিচার চাইলেন খোদ পুলিশকর্মী