২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের আগে শুরু হয়েছিল দিদিকে বলো কর্মসূচি। এবার পঞ্চায়েত ও লোকসভা ভোটের আগে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ (Didir Suraksha Kabach) চালু করল তৃণমূল কংগ্রেস। এই কর্মসূচির সূচনা করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৫টি সরকারি প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে এই উদ্যোগ বলে জানালেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এটা পঞ্চায়েত ভোটকে মাথায় রেখে কর্মসূচি নয় বলে স্পষ্ট করে দিয়েছেন দলনেত্রী।
কর্মসূচি উদ্বোধনের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই এই সম্পর্কে জানালেন। প্রকল্পের নাম তাঁর দেওয়া নয় বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের তরুণ প্রজন্মই নাম দিয়েছে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’। মমতার কথায়,’নামটি আমাদের দেওয়া নয়। এই নামটি আমাদের আইটি টিমের। আমাদের ছোট্ট একটা টিম আছে। আমি তাঁদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এটা মানুষের দুয়ারে কর্মসূচি। আমাদের সাড়ে ৩ লক্ষ কর্মী দু’কোটি বাড়িতে যাবে। ১০ কোটি মানুষের কাছে পৌঁছবে। কোনও বাড়ির লোক হয়তো আবেদন করতেই পারে না তাঁকে বলতে হবে আসুন আমি আবেদন করে দিচ্ছি।’
আরও পড়ুন: Howrah Shootout : ছিনতাইয়ে বাধা দেওয়ায় দুষ্কৃতীদের গুলি! আড়াই বছরের মেয়ের সামনেই মাকে গুলি করে খুন
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ”দুয়ারে সরকারের আইডিয়ার আরেকটা রূপ এই কর্মসূচি। সরকার যে কাজ করছে, করুক। পাশাপাশি পার্টির কাছেও কিছু অভিযোগ আসে। তা এলে কাজ করতে হবে দলীয় স্তরে। অনেক প্রযুক্তিগত সমস্যা থাকে। কিন্তু মানবিক কারণে তা এড়িয়ে সমাধানের কাজটা আগে করতে হবে।”
Our Hon'ble Chairperson Smt @MamataOfficial, Nat'l Gen Sec Shri @abhishekaitc and WB State President Shri Subrata Bakshi launched our new initiative #DidirSurakshaKawach.
People's service is our PRIORITY! pic.twitter.com/NnXJWOYQdN
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) January 2, 2023
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান,’আগামী ১১ জানুয়ারি থেকে বাস্তবায়িত হবে এই কর্মসূচি। সাড়ে তিন লক্ষ কর্মী পৌঁছে যাবেন বাড়িতে বাড়িতে। দশ কোটি মানুষ ও দু কোটি পরিবারের কাছে পৌঁছে যাবে। দিদির দূত হিসেবে তৃণমূলের সাড়ে ৩ লক্ষ প্রতিনিধি প্রতিটি বাড়িতে যাবেন। সরকারের যে ১৫টি প্রকল্প রয়েছে তার সুযোগসুবিধা যাতে সাধারণ মানুষ ঠিক সময় পান তা নিশ্চিত করবে। ‘
অভিষেক বলেন,’আগামী দুমাস ধরে প্রায় সাড়ে তিনশোজন রাজ্যস্তরের নেতা গ্রামে গিয়ে ১০ দিন থাকবেন। তাঁরা রাত্রিযাপন করবেন। মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের অভাব-অভিযোগ-মতামত শুনবেন। তিনি চলে যাওয়ার পর সরকারি সুবিধা মানুষ পাচ্ছেন কিনা তা সুনিশ্চিত করবেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। স্বাস্থ্য, সামাজিক সুরক্ষা, খাদ্য ও আবাসের মতো ১৫টি প্রকল্পকে সরকার প্রতিটি মানুষের বাড়িতে পৌঁছে দিতে চাইছে সরকার। এজন্য দিদির দূত অ্যাপ আনা হয়েছে গুগল প্লে স্টোরে।’
আরও পড়ুন: Vande Bharat Express: হাওড়া-এনজেপি বন্দে ভারতে ভাড়া কত? মিলবে কোন কোন খাবার?