২০১৭ সালে এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করেছিলেন উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ের তৎকালীন বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গার। পরে নির্যাতিতার বাবাকে খুনের ঘটনারও মূল চক্রী ছিলেন তিনি। যাবজ্জীবন জেলের সাজাপ্রাপ্ত সেই কুলদীপ সিংহ সেঙ্গারকে ইলাহাবাদ হাই কোর্টের অনুমোদনে প্যারোলে মুক্তি দিতে চলেছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার।
প্রাক্তন বিজেপি বিধায়কের প্যারোলের খবর পেয়েই প্রধানমন্ত্রী-সহ একাধিক ব্যক্তিকে চিঠি লিখেছেন উন্নাওয়ের (Unnao) নির্যাতিতা। মামলার সাক্ষীদের ভয় দেখিয়ে প্রভাবিত করবেন কুলদীপ, সেই আশঙ্কা থেকেই চিঠি লিখেছেন তিনি। সেই সঙ্গে নির্যাতিতার দাবি, দিল্লি পুলিশ ও সিবিআইয়ের কড়া নজরদারিতেই জেল থেকে বেরনোর অনুমতি দেওয়া হোক কুলদীপকে।
আরও পড়ুন: Bharat Jodo Yatra: হাঁটতে হাঁটতেই হঠাৎ মৃত্যু কংগ্রেস সাংসদের, হাসপাতালে ছুটলেন রাহুল
উত্তরপ্রদেশ সরকারের কাছে সেঙ্গার তাঁর মেয়ের বিয়েতে যোগ দেওয়ার জন্য প্যারোলে মুক্তি চেয়েছিল। সরকারের সুপারিশে হাই কোর্ট সেই আর্জি মঞ্জুর করে ১৫ দিনের জন্য (২৭ জানুয়ারি থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি) তাঁকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়ার কথা বলেছে। সেই সঙ্গে একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন তিনি। তাতে অবিলম্বে সেঙ্গারের মুক্তির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি তোলা হয়েছে। নির্যাতিতার দাবি, যত দিন বিজেপির প্রাক্তন বিধায়ক জেলের বাইরে থাকবেন, তত দিন তাঁর এবং ওই মামলার সাক্ষীদের জীবনের ঝুঁকি থাকবে।
২০১৭ সালের ৪ জুনে গণ-ধর্ষিতা হন উন্নাওয়ের কিশোরী। মূল অভিযুক্ত ছিলেন তৎকালীন বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সিং সেঙ্গার। পরিবার পুলিশে অভিযোগ জানাতে গেলেও পুলিশ অভিযোগ নিতে চায়নি বলে অভিযোগ ছিল। পরে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে চিঠি লেখেন নির্যাতিতা। ২০১৮ সালের ৮ এপ্রিল যোগী আদিত্যনাথের বাসভবনের সামনে ধর্নায় বসেন নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবার। সেখানেই গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন নির্যাতিতা। এই ঘটনার পর উলটে নির্যাতিতার বাবাকেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু হয় নির্যাতিতার বাবার।
আরও পড়ুন: Money Heist : রাস্তায় উড়ছে ৫০০- ২০০০-র নোট! হুড়োহুড়ি বাসিন্দাদের, মাথায় হাত পুলিশের