মদ্যপ অবস্থায় বিমানে বৃদ্ধা যাত্রীর উপর প্রস্রাব (Air India Pee Gate) করার অভিযোগ। গোটা বিষয়টি জানার পরেও অভিযুক্ত শঙ্কর মিশ্রর বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়নি এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ। সেই ‘অপরাধে’ই বিমান সংস্থাকে ৩০ লক্ষ টাকা জরিমানা করল ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ)।
এখানেই শাস্তি শেষ নয়। নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগে ওই বিমানের প্রধান পাইলটের লাইসেন্সও সাসপেন্ড করা হয়েছে। এয়ার ক্রাফ্টের ১৪১ নম্বর আইন লঙ্ঘনের জন্য তিন মাসের জন্য নির্বাসিত হয়েছেন তিনি। পাশাপাশি বিমানে পরিবেষার জন্য যে কর্মীরা ছিলেন, তাঁদের ডিরেক্টরকেও তিন লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। নিজের কাজ সঠিক ভাবে করতে না পারার অভিযোগে তাঁকে জরিমানা করা হয়েছে।
গত ২৬ নভেম্বর নিউ ইয়র্ক (New York) থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) বিমানে দিল্লি ফেরার সময় ৭০ বছর বয়সি এক বৃদ্ধার গায়ে মূত্রত্যাগ করে অভিযুক্ত শংকর মিশ্র। অভিযোগ, বিমানের বিজনেস ক্লাসে আচমকাই তাঁর গায়ে প্রস্রাব করেন ওই ব্যক্তি। অধিকাংশ যাত্রী ঘুমন্ত থাকার কারণে ঘটনাটি সকলের নজর এড়িয়ে যায়। বিমানের কর্মীদের এই ঘটনা জানালে তাঁরা ওই বৃদ্ধাকে পরিষ্কার জামাকাপড় পরে ঘুমিয়ে পড়তে নির্দেশ দেন। এই বিষয়টি নিয়ে তিনি যেন মুখ না খোলেন, সেই কথাও বলা হয় বৃদ্ধাকে। পরে বৃদ্ধা এর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানালে গত ৬ জানুয়ারি গ্রেপ্তার করা হয় শংকরকে। আপাতত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে তিনি।
বৃহস্পতিবার এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়ে দেয়, অভিযুক্ত শংকরের উপর আগামী চার মাসের জন্য বিমানযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে ডিজিসিএ-র তদন্তে খুশি নন শংকর। তাঁর আইনজীবী জানিয়েছেন, সিদ্ধান্তকে তাঁরা মেনে নিচ্ছেন, কিন্তু সব তথ্য সঠিক নয়। মিশ্রের আইনজীবী আদালতে দাবি করেন, মিশ্র নন, ওই সত্তরোর্ধ্বা বৃদ্ধা নিজেই শারীরিক অসুস্থতার ফলে নিজের পোশাকটি প্রস্রাব করে ভিজিয়ে ফেলেছিলেন। এই অভিযোগগুলি ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানানো এবং অবমাননাকর’ বলে খারিজ করেছেন ওই মহিলা।