শাহরুখের ‘পাঠান’ (Pathaan) ছবি নিয়ে বড্ড কনফিউশড কঙ্গনা রানাউত। কখনও বলছেন ভাল, কখনও বলছেন খারাপ। কী বলবেন, আর কী করবেন ভেবেই পাচ্ছেন না। টুইটারে ফিরে আসার পর থেকেই আজব আজব কাণ্ড ঘটাচ্ছেন বলিউডের বিতর্ক ‘কুইন’। এই যেমন, পাঠান মুক্তি পেতেই বলিউডকে একহাত নিলেন। ছবির ব্যবসা নিয়ে তো যাচ্ছে তাই বলে ফেললেন। ‘পাঠানে’র সঙ্গে টেনে নিয়ে আসলেন শ্রীরাম জয়ধ্বনি প্রসঙ্গ। তখনও অবশ্য নাকি ‘পাঠান’ দেখা হয়নি কঙ্গনার। আর এবার একশো আশি ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে পাঠানের ভূয়সী প্রশংসা করে বসলেন কঙ্গনা।
তা এবার কী বললেন তিনি? যাঁরা বলছেন, “পাঠানের বক্স অফিস সাফল্য ঘৃণার ঊর্ধ্বে উঠে ভালবাসার জয়”— শুরুতে তাঁদের বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন কঙ্গনা। কঙ্গনার পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় এক ব্যক্তি মনে করিয়ে দিতে চান, “কঙ্গনা অভিনীত শেষ ছবি ‘ধকড়’ প্রথম দিনে মাত্র ৫৫ লাখ টাকা আয় করেছে এবং ছবির মূল সংগ্রহ ২.৫৮ কোটি। যদিও পাঠান প্রথম দিনেই আয় করেছে ১০০ কোটির বেশি। এর চেয়ে হতাশাজনক আর কিছুই নয়।” এই মন্তব্যের জবাবে কঙ্গনা বলেন, “হ্যাঁ, ধকড় ঐতিহাসিক ব্যর্থতার নজির, আমি কখন সেটা অস্বীকার করেছি? বরং ‘পাঠান’ গত দশ বছরে শাহরুখের প্রথম সফল ছবি, আমরাও তাঁর থেকে অনুপ্রেরণা পেলাম। আমি আশা করি আমরাও একই রকম সুযোগ পাব যা দেশ তাঁকে দিয়েছে। এত কিছুর পরেও ভারত মহান, উদার, জয় শ্রী রাম।”
আরও পড়ুন: Pathaan : ‘পাঠান’ ঝড়ে বিপর্যস্ত রাসবিহারী থেকে হাজরা মোড়, সামাল দিতে নামল পুলিশ
কঙ্গনা প্রশ্ন এর পর তোলেন, কার ঘৃণা আর কার ভালবাসা? যাঁরা দাবি করছেন ‘পাঠান’ ঘৃণাকে হারিয়ে দিয়ে ভালবাসা পেয়েছে, তাঁদের উদ্দেশেই প্রশ্নটি রাখেন অভিনেত্রী তথা পরিচালক। তাঁর কথায়, ‘‘খেয়াল করুন ভারতীয়রা টিকিট কেটে দেখছেন। ভারতবাসীর ভালবাসা। যাঁদের মধ্যে ৮০ শতাংশই হিন্দু। তাঁরাই ‘পাঠান’ দেখছেন। এর অর্থ, দেশ এখনও ধর্মসহিষ্ণুই আছে। জয় যার হয়েছে সে হল ভারতবাসীর ভালবাসার।’’
কঙ্গনা আরও বলেন, ‘‘আমি বিশ্বাস করি, ভারতীয় মুসলিমরা দেশপ্রেমী। আফগানিস্তানের পাঠানদের মতো নন। তাই ভারত কখনও আফগানিস্তান হবে না। পাঠান-এর যে চরিত্র এই সিনেমায় রয়েছে, সে-ও ভারতীয় মুসলিম। চিত্রনাট্য তা-ই বলছে।’’ সব শেষে কঙ্গনা আরও এক বার স্বীকার করে নেন যে, ‘পাঠান’ অত্যন্ত ভাল ভাবে চলছে। হিন্দি ছবির মন্দার দিনে এমন কাজ আরও হওয়া দরকার।
আরও পড়ুন: Susmita Dey: জন্মদিনেই কি বাগদান সারলেন? ভিডিও পোস্ট হতেই প্রশ্ন ‘পঞ্চমী’কে