ধর্ষণ কাণ্ডে আশারাম বাপুকে (Asaram Bapu) যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের (Life Sentence) সাজা শোনাল গুজরাত আদালত। শিষ্যাকে লাগাতার ধর্ষণের (Raping Former Woman Disciple) অভিযোগে অভিযুক্ত ছিলেন আশারাম। সোমবার সেই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন তিনি। তবে এই ঘটনায় আশারামের শাস্তি কী হবে তা স্থগিত রেখেছিল গান্ধীনগর আদালত। মঙ্গলবার সেই শাস্তিই শোনানো হল। এদিকে, অপর একটি ধর্ষণ মামলায় যোধপুরে যাবজ্জীবন জেল খাটছেন আশারাম। মঙ্গলবার গান্ধীনগর আদালত যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণার পাশাপাশি নির্যাতিতাকে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশও দেয়।
৮১ বছরের আসারাম এখন জোধপুর জেলে। সেখান থেকে ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে শুনানিতে যোগ দিয়েছেন তিনি। মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন আসারামের স্ত্রী। তিনি অসুস্থ হয়ে সুরতের হাসপাতালে ভর্তি। তাই দায়রা আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। আসারামের মেয়েও সময়মতো পৌঁছতে পারেননি আদালতে। ফলে সাজা ঘোষণার জন্য মঙ্গলবার কিছু ক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় বিচারককে।
২০১৩-র অক্টোবর মাসে গুজরাতের আহমেদাবাদের চাঁদ খেদা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন কিশোরী। ২০১৩ সালের ৬ অক্টোবর নির্যাতিতা কিশোরী পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন আসারাম বাপুর এবং তাঁর ৬ সহযোগীর বিরুদ্ধে। সেই কিশোরী আহমেদাবাদের মোতেরায় আসারাম বাপুর আশ্রমে থাকত। তিনি অভিযোগ করেন ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত আসারাম বাপু তাঁর আশ্রমে তাঁকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছিলেন। কোনও রকমে তিনি তাঁর আশ্রম থেকে পালিয়ে আসেন।
আসারাম বাপুকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ৩৪২ (অন্যায়ভাবে আটকে রাখা), ৩৫৪এ (যৌন হয়রানি), ৩৭০(৪) (পাচার), ৩৭৬ (ধর্ষণ), ৫০৬ (অপরাধমূলক ভয় দেখানো) এবং ১২০(বি) (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছিল। আসারামের ছেলে নারায়ণ সাইও এই মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন। আসারামের স্ত্রী লক্ষ্মী, মেয়ে ভারতী এবং চার মহিলা অনুগামী – ধ্রুববেন, নির্মলা, জাসি এবং মীরা -কেও মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছিল। গান্ধীনগর আদালত তাদের সকলকে খালাস দিয়েছে।