রবিবার শেষ হল ৪৬ তম কলকাতা বইমেলা (Kolkata Book Fair 2023)। মেলার শেষ দিনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মেলার সঙ্গে যুক্ত মানুষদের ধন্যবাদ জানান পশ্চিমবঙ্গ পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার গিল্ডের সম্পাদক ত্রিদিব কুমার চট্টোপাধ্যায় এবং সভাপতি সুধাংশু শেখর দে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন-সহ বিশিষ্টজনেরা।
গত বছর যেখানে ২৩ কোটি টাকার বই বিক্রি হয়েছিল, সেখানে এবছর ৪৬তম বইমেলায় বিক্রি হয়েছে প্রায় ২৭ কোটি টাকার। বিগত সব বইমেলার রেকর্ড ভেঙে এবারের বইমেলায় আসা লোকসংখ্যাও ২৬ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। পাবলিশার্স এবং বুকসেলার্স গিল্ডের (Publishers and Booksellers Guild) সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘৪৬ বছরের যাবতীয় রেকর্ড ম্লান করে দিয়েছে এবছর বইমেলায় আগতদের সংখ্যা। আর বলা হয়, বাংলা বই নাকি বিক্রি হয় না। বই নাকি বিক্রি হয় না। সেই আশঙ্কা যে অমূলক তা বারবার প্রমাণ করে দিয়েছে কলকাতা বইমেলা। বইয়ের বিকল্প কিছুই হয় না। সেটা প্রমাণিত।’’
আরও পড়ুন: বইয়ের ট্রাম! টালিগঞ্জে এবার ট্রামের পেটে আস্ত বইপাড়া
কোভিড অতিমারি কাটিয়ে নতুন উদ্যমে বইমেলায় ভিড় জমিয়েছেন সাধারণ মানুষ। অনলাইন আর কিন্ডলের যুগে দাঁড়িয়েও পাতা উলটে, ব়্যাক ঘেঁটে দেদার বই কিনেছেন অসংখ্য মানুষ। সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্কে যেন উপচে পড়েছিল মানুষের ভিড়। আর এই জনজোয়ারের অন্যতম কৃতিত্ব শিয়ালদা মেট্রো স্টেশন। এই রুটের মেট্রো চালু হওয়ায় আরও বেশি মানুষ সহজেই পৌঁছে যেতে পেরেছেন এবারের বইমেলায়। সব মিলিয়ে নবমী নিশিতেই জমজমাট বইমেলা গ্রাউন্ড। খুশি গিল্ড কর্তা থেকে শুরু করে পাবলিশার্স।
শুধুমাত্র আয়োজকরা নন, রেকর্ড গড়েছেন পুলিশ আধিকারিকরাও। বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার গৌরব শর্মা জানান, এবছর এত মানুষের জনসমাগমে কারোর কোনও মোবাইল কিংবা মূল্যবান সামগ্রী চুরির অভিযোগ দায়ের হয়নি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও এবছর সুষ্ঠুভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: BOOK READING: মিলবে মানসিক শান্তি, আজ থেকেই বই পড়ার অভ্যাস করুন