গত সোমবার বিধানসভায় রাজ্যপালের বক্তৃতা নিয়ে ধন্যবাদ প্রস্তাবের বিতর্ক ছিল। সে সব মিটে যাওয়ার পর বিকেলে ক্ষণিকের জন্য হাল্কা আলোচনা চলে বিধানসভার অলিন্দে। দেবাশিসকে দেখে দিদির আবার অন্য কথা মনে পড়ে যায়।তিনি বলেন, শোনো ভাষা দিবসের অনুষ্ঠান কিন্তু এবার দুপুর দুপুর সেরে ফেলব। আমাকে শিলিগুড়ি যেতে হবে।
ভাষা দিবসের কথা শুনে পাশ থেকে কেউ বলেন, ওদিন তো দিদি তুমিও অন্যরকম শাড়ি পরো। শুনে মমতা বলেন, হ্যাঁ ভাষা দিবস আর সরস্বতী পুজোর জন্য আমি স্পেশাল দুটো ডিজাইন করে রেখেছি। আমারই করা। ২১ ফেব্রুয়ারি ওটাই পরব।
মঙ্গলবার দুপুরে ২১ ফেব্রুয়ারির মঞ্চে দেখা গেল, একেবারেই তাই। মুখ্যমন্ত্রী কালো পাড়ের যে সাদা শাড়ি পরেছেন তা নজরে পড়ার মতো। এমনিতে সরু পাড়। কিন্তু সেই পাড়ে সার দিয়ে লেখা রয়েছে ‘অ’। ওটাই ডিজাইন। আবার ভাষা দিবসের মঞ্চে অতিথি অভ্যাগতদের যে উত্তরীয় দেওয়া হয়েছে, মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন ঘোষণা করে জানিয়েছেন, সেও দিদিরই ডিজাইন করা।
এদিন ভাষা শহিদ দিবসের মঞ্চে সমবেত উদ্বোধনী সঙ্গীত হয়। তার পর মঞ্চে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর ডান পাশে বসেছিলেন কবি জয় গোস্বামী। ডান পাশে পরিচালক রাজ চক্রবর্তী। উদ্বোধনী সঙ্গীতের পর প্রথম গানটি ধরেন সুরজিৎ। সে গানের কথা ছিল, ‘প্রাণ সখী রে ওই শোনো কদম্বতলে বংশী বাজায় কে…’
২১-এর সকালে বাংলার মানুষকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক ও টুইটার হ্যান্ডেল থেকে রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছা জানান তিনি। টুইটারে তিনি লেখেন,’ভাষার ঐক্য, সম্প্রীতি, ভাষার মৌলিক অধিকার শিক্ষা, মানসিক ও নৈতিক বিকাশ এবং সর্বোপরি মাতৃভাষার প্রতি ভালবাসা – এইসব মিলিয়ে আজকের দিনটি আমাদের সকলের কাছে অতি গুরুত্বপূর্ণ। ‘অমর একুশে’ সকল ভাষার মানুষকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।’