টক দই প্রায় সব ধরনের ত্বকের জন্যই খুব ভালো। এটা ত্বকে যেমন ব্যবহার করে ভালো ফল পাওয়া যায়, তেমনি খুব সহজে ঘরে থাকা অন্যান্য উপকরণের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করলে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা খুব সহজেই দূর করতে পারে। নিয়মিত ত্বকে টকদইয়ের ব্যবহারে ত্বক হয় আরও ফর্সা, দূর হয় ত্বকের অনাকাঙ্ক্ষিত দাগ আর পিগমেন্টেশন এবং খুবই কম সময়ে রোদে পোড়া ভাব চলে যায়।
ব্রণ উপশমে
এক টেবিলচামচ টক দই নিয়ে তাতে তুলো ডুবিয়ে ভিজিয়ে নিন। ব্রণর উপরে লাগিয়ে রাখুন। রাতে লাগালে সকালে ঘুম থেকে উঠে ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলবেন। দিনে লাগালে ঘণ্টা দুয়েক লাগিয়ে রাখুন, তারপর ধুয়ে নিন। দইয়ের ল্যাকটিক অ্যাসিড ব্রণ চটপট শুকিয়ে দেয়।
ডার্ক সার্কলের সমস্যায়
লকডাউনের টেনশনে চোখের কোলে কালি? টক দইয়ে তুলো ডুবিয়ে চোখের কোলে আলতো করে লাগিয়ে নিন। দশ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। দই চোখের কোলের ফোলাভাব কমায়, ল্যাকটিক অ্যাসিড দূর করে কালো ছোপ।
আরও পড়ুন: Hair Oil: তেল ব্যবহার করার সময় এই ৬ ভুল করলেই হারাতে পারেন সাধের চুল!
ত্বকের সংক্রমণে
র্যাশের উপরে ক্রিম লাগানোর মতো করে দইয়ের প্রলেপ দিয়ে ব্যান্ডেজ জড়িয়ে রাখুন। যতদিন সংক্রমণ পুরোপুরি না কমছে, দিনে দু’বার এভাবে দই লাগান। দইয়ের প্রোবায়োটিকস যে কোনও সংক্রমণ কমাতে পারে।
দাগছোপ কমাতে
দইয়ের সঙ্গে অল্প পাতিলেবুর রস মিশিয়ে দাগের উপর লাগান, দশ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। কয়েকদিন নিয়মিত লাগালেই দেখবেন দাগ হালকা হতে শুরু করেছে।
শুষ্ক ত্বকের সমস্যায়
খানিকটা দই ক্রিমের মতো করে মুখে মেখে নিন, দশ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। দইয়ের ভরপুর ময়শ্চার ত্বক আর্দ্র আর কোমল করে তুলবে। বাড়তি তরতাজাভাব পেতে দইয়ে খানিকটা গোলাপজল মিশিয়ে নিতে পারেন।
আরও পড়ুন: Nude Makeup: বিয়ের দিন কিয়ারা -আথিয়াদের মতো লুক পেতে শুধু মেনে চলুন এই টিপসগুলো!