আত্মবিশ্বাস বাড়ছে কংগ্রেসের। বামেদের পূর্ণ সমর্থন নিয়ে কংগ্রেস লড়তে চাইছে ঠিকই, একই সঙ্গে জোর দিতে চাইছে নিজেদের প্রতীকে। বামেদের সমর্থনে কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাসের জয় প্রায় নিশ্চিত হতেই এদিন দেখা যায় লাল জামা গায়ে চড়িয়ে বেরিয়ে পড়েছেন অধীর চৌধুরী ।
সাগরদিঘিকে মডেল করে এগোনোর আহ্বান জানিয়েই দিয়েছেন প্রদেশ সভাপতি। দলীয় নেতৃত্বের বক্তব্য প্রদেশ সভাপতি যা সিদ্ধান্ত নেবেন, সেটাই চূড়ান্ত। তবে তার আগে দলের প্রতীককে সামনে রেখে সর্বত্র সংগঠন মজবুত করতে হবে। জোট-ভবিষ্যৎ চূড়ান্ত করতে খুব শীঘ্রই দলীয় নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছে প্রদেশ কংগ্রেস।
বামেরা কি তবে কংগ্রেসের ছায়াতে থেকেই লড়বে। সেটা কি বামদের জন্য ভালো হবে ? বামেদের প্রতি বঙ্গবাসীর আস্থা কি একেবারেই ফেরেনি? কেন কংগ্রেসের পিছনে দাঁড়াতে হচ্ছে তাদের ? এমন প্রশ্নের যাব নেই আবেঘন বাং সমর্থকদের কাছে। তাদের একটাই কথা আপাতত এটাই পথ। এই ফর্মুলা কাজ করছে।
সাগরিদীঘির কল্যাণে বিধানসভায় শূন্য থেকে এক হবে কংগ্রেস। সৌজন্যে বাম। কিন্তু এমনটা তো দীর্ঘদিন চলতে পারে না। কংগ্রেসের ভর করে আর কদিন। মুশিকল হল বামরা সোশ্যাল সাইটে যতটা মুখর, জমিনে ততটা নয়। সোসাল সাইটে বিনোদনই মূল কথা। রাজনীতি নয়। রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক হওয়ার জন্য যা যা জরুরি তা বাং নেতা কুমারীদের মধ্যে এখনও নজরে আসছে না। না আছে তাদর প্রতিবাদের ঝাঁজ, না আছে অভিমুখ। ইস্যু সিলেকশন সঠিক নয়।