আগামী ১ এপ্রিল থেকে, হলমার্ক ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন (এইচইউআইডি) নম্বর ছাড়া সোনার গয়না বিক্রির অনুমতি দেওয়া হবে না। শুক্রবার কেন্দ্রীয় ভোক্তা বিষয়ক এবং খাদ্য ও গণবণ্টন মন্ত্রক এমনটা জানিয়েছে। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভোক্তা বিষয়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নিধি খারে বলেছেন, ‘ভোক্তাদের স্বার্থে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, ২০২৩ সালের ৩১ মার্চের পর এইচইউআইডি ছাড়া বা হলমার্কের নম্বর ছাড়া সোনার গয়না এবং সোনার শিল্পসামগ্রী বিক্রির অনুমতি দেওয়া হবে না।’
খারে বলেন, ‘আগে হলমার্কের বা এইচইউআইডির নম্বর চার অঙ্কের হত। এখনও এইচইউআইডি নম্বর ৪ এবং ৬, দু’রকম সংখ্যারই হয়। আমরা নির্দেশ দিয়েছি যে ৩১ মার্চের পরে শুধুমাত্র ৬-সংখ্যার আলফানিউমেরিক কোড অনুমোদিত হবে।’ আসলে এইচইউআইডি সোনার গয়না এবং সোনার সামগ্রীতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর, সেই কারণেই সরকার ভোক্তার স্বার্থে নতুন নিয়ম লাগু করল।
হলমার্ক কী?
সরকারি ওয়েবসাইট অনুযায়ী, হলমার্ক হল সোনার গয়নার একটি চিহ্ন। যা এর সূক্ষ্মতা এবং বিশুদ্ধতা নিশ্চিত করে। এই চিহ্ন ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস (বিআইএস) দ্বারা স্বীকৃত। তাই ক্রেতাদের উচিত কোনও সোনার গয়না কিনলে, প্রতারিত হওয়া এড়াতে হলমার্ক চেক করে নেওয়া।
হলমার্ক পরীক্ষা কীভাবে করতে হবে?
এতে বিআইএস লোগো থাকে। যা গয়নার বিশুদ্ধতা এবং সূক্ষ্মতা বোঝায়। আর, থাকে এইচইউআইডি নম্বর। কোনও সোনার গয়নাই ১০০ শতাংশ সোনা দিয়ে তৈরি হয় না। কারণ হলুদ ধাতু সোনা নিজে খুব নরম। তাই একে গয়নার আকার দেওয়ার জন্য অন্যান্য ধাতুর সঙ্গে মেশানো হয়। গয়না যত ‘খাঁটি’ হবে, অর্থাৎ এক টুকরো গয়নায় যত বেশি সোনা থাকবে, তার দাম ততই বেশি হবে।