Jitendra Tiwari: Court gives 8 days of Police custody of BJP leader Jitendra Tiwari

Jitendra Tiwari: কম্বলকাণ্ডে ধৃত জিতেন্দ্রকে ৮ দিনের পুলিশি হেফাজত, আদালতে নিজেই সওয়াল বিজেপি নেতার

কম্বলকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে ৮ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিল আসানসোলের বিশেষ আদালত। রবিবার জিতেনকে আদালত থেকে বের করার পথে বিজেপি কর্মীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান ওঠে। পুলিশের গাড়িতে উঠতে উঠতে জিতেন্দ্র বলেন, ‘‘আমার যা লাইফস্টাইল আমি মাটিতেও শুতে পারি। আমার পুলিশ হেফাজত হোক বা জেল হেফাজত, কিচ্ছু যায় আসে না। যারা মোটা মোটা গদিতে ঘুমোয়, তারা ভাবুক, তাদের কী হবে।’’

প্রসঙ্গত,গত ১৪ ডিসেম্বর আসানসোলে কম্বর বিতরণের অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এই ঘটনায় আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র তথা বর্তমান বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র ও তাঁর স্ত্রী তথা কাউন্সিলর চৈতালির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে মৃতের পরিজনরা। বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ (অনিচ্ছাকৃত খুন), ৩০৮ (অনিচ্ছাকৃত খুনের চেষ্টা), ৩৪ ধারায় (যৌথ ভাবে কোনও ঘটনা সংগঠিত করা) মামলা রুজু করে পুলিশ।

আরও পড়ুন: Anubrata Mandal: মধ্যরাতে দিল্লিতে টানটান নাটক, শেষে ১০ মার্চ পর্যন্ত ইডি হেফাজতে কেষ্ট

গ্রেপ্তারি এড়াতে আদালতে যান তিওয়ারি দম্পতি। নিম্ন আদালতে রাজ্য়ের যুক্তির কাছে হেরে গিয়েছিলেন তিওয়ারি দম্পতির আইনজীবী। পালটা হাই কোর্টে যান তাঁরা। রক্ষাকবচ পেলেও তার মেয়াদ শেষ হয়েছে। এর মাঝে জিতেন্দ্র তিওয়ার বাড়িতে গিয়ে একাধিকবার জেরা করেছে পুলিশ। নতুন করে হাই কোর্টে আবেদন জানিয়েও লাভ হয়নি। শোনা যায়, তাঁরা সুপ্রিম কোর্টেও দ্বারস্থ হয়েছেন। এর মাঝেই শনিবার দুপুরে যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রাত দুটোয় আসানসোলে এনে শারীরিক পরীক্ষা করে রবিবার আদালতে পেশ করা হয় তাঁকে।

পুলিশের তরপে ১৪ দিনের হেফাজত চাওয়া হয়। পালটা জিতেন্দ্র তিওয়ারি এদিন আদালতে দাবি করেন, জামিন চাইছি না কাল সুপ্রিম কোর্টে শুনানি রয়েছে। তাই আজ তাঁকে ২ দিনের পুলিশ হেফাজত দেওয়া হোক। পরে প্রয়োজনে আরও ১২ দিন দেওয়া হবে। তবে তাঁর আরজিতে কর্ণপাত করেনি আদালত। ৮ দিনের হেফাজতের নির্দেশ দেন।

আরও পড়ুন: Durgapur : ‘মা থাকো তুমি শান্তিতে, আমরা চললাম’, ফেসবুক পোস্টের পরেই একই পরিবারের ৪ জনের রহস্যমৃত্যু