ফগানিস্তানে ফের ভূমিকম্প (Afghanistan Earthquake)। মঙ্গলবার, একই দিনে পর পর দু’বার ভূমিকম্প সেখানে। কম্পনের উৎসস্থল আবারও সেই হিন্দুকুশ পার্বত্য অঞ্চল, যা কিনা ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল হিসেবেই পরিচিত। আর সেই তীব্র ভূমিকম্পের রেশ এসে পৌঁছল উত্তর ভারতেও। কম্পন অনুভূত হয়েছে পাকিস্তান, তাজিকিস্তান-সহ সংলগ্ন আরও একাধিক দেশে (Earthquake)।
মঙ্গলবার আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ পার্বত্য অঞ্চলে ভূমিকম্প হয়। পর দু’বার ভূমিকম্প হয় সেখানে। রিখটার স্কেলে প্রথমটির তীব্রতা ছিল ৪.৪। দ্বিতীয়টির তীব্রতা ছিল ৬.৬। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, আফগানিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমের ফৈজাবাদ থেকে ১৩৩ কিলোমিটার দূরের এলাকা ছিল কম্পনের উৎসস্থল। আফগানিস্তান-পাকিস্তান এবং তাজিকিস্তান সীমান্তের কাছে ভূমিকম্প হয়।
ভারতের, দিল্লি, উত্তরাখণ্ড, কাশ্মীর, এমনকি রাজস্থানেও এর রেশ পৌঁছয়। পাকিস্তানেও অনুভূত হয়েছে কম্পন। ইসলামাবাদ, লাহৌর এবং পেশোয়ারে কম্পন অনুভূত হয়েছে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ভূমিকম্পের প্রতিক্রিয়ায় টুইটারে লিখেছেন, ‘দিল্লিজুড়ে শক্তিশালী কম্পন অনুভূত হয়েছে। আশা করি, আপনারা সবাই নিরাপদ আছেন।’
আফগানিস্তানের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শফিউল্লাহ রাহিমি আন্তর্জাতিক বার্তাসংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে লাঘমান প্রদেশে এক শিশুসহ দুজন নিহত হয়েছে। তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, সারাদেশের স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোকে উচ্চ সতর্কতায় রাখা হয়েছে।
পাকিস্তানের জরুরি পরিষেবার মুখপাত্র বিলাল ফাইজি এবং অন্যান্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে ছাদ ধসে নয়জন নিহত হয়েছেন। ভূমিকম্পের কারণে কিছু পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধস হয়। এছাড়া যান চলাচল ব্যাহত হয়।
পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদ ছাড়াও লাহোর, কোয়েটা ও পেশোয়ারের মতো শহরে গভীর রাতে ভূমিকম্পন অনুভূত হয়। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এসব শহরের বাসিন্দারা। বিলাল ফাইজি দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে জানান, খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে ১০০ জনেরও বেশি মানুষকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে বেশিরভাগকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়।