কলকাতা ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল থেকে বাদ পড়েছিলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। যা নিয়ে রাজ্য সরকারকে একহাত নিয়েছিলেন বিজেপি নেতৃত্বের অনেকেই। এবার কেন্দ্রীয় তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রকের উদ্যোগে আয়োজিত চলচ্চিত্র উৎসবেও এবার বাদ পড়লেন মিঠুন চক্রবর্তী। তবে শুধু মিঠুন নন, বাদ পড়েছেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষের নামও। যা নিয়ে বেশ ক্ষুদ্ধ মিঠুন ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিত্বরা।
বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ২০২৩ শীর্ষক এই উৎসবটি বকলমে কেন্দ্রীয় সরকারের এনএফডিসি, তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রক, আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের মতো বেশ কয়েকটি দপ্তর স্পনসর করেছে। গোটাটি পরিচালনা করেছেন কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রকের শীর্ষকর্তা এবং বঙ্গ বিজেপির একাংশ।
ইএম বাইপাসে সত্যজিৎ রায় ফিল্ম ইনস্টিটিউটে গত ২৪ মার্চ থেকে শুরু হওয়া এই পালটা চলচিত্র উৎসবের উদ্বোধন করার কথা ছিল কেন্দ্রীয় তথ্য সম্প্রচারমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের (Anurag Thakur)। শুক্রবার বিকেলে এই অনুষ্ঠান উদ্বোধনে অনুরাগ না এলেও রাতে বাইপাসের একটি পাঁচতারা হোটেলে ডিনার পার্টিও দেওয়া হয়েছে আয়োজকদের তরফে। কিন্তু সেখানেও বিজেপি যাঁর জন্য কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে আমন্ত্রণ না জানানো নিয়ে মায়াকান্না কেঁদেছিল, সেই মিঠুন চক্রবর্তীকে ডিনারে ডাকেনি। গোটা ঘটনায় বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রকের আয়োজকদের উপর ভয়ানক ক্ষুব্ধ মিঠুন ঘনিষ্ঠরা।
আরও পড়ুন: sharukh khan: বাদ শাহরুখ? দেবকে বাংলার নতুন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর করলেন মমতা
এদিকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের দিনই বিতর্ক তৈরি হয়। সেখানে মঞ্চে দেখা যায় বাংলার বহু শিল্পীকে, যাঁরা আবার কিনা রাজ্য সরকারের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। ছিলেন মাধবী মুখোপাধ্যায়, সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়, রঞ্জিত মল্লিকের মতো বর্ষীয়ান তারকারা। অনুষ্ঠানে সবথেকে বেশি যিনি নজর কাড়েন তিনি হলেন কনীনিকা, যিনি কিনা এই মুহূর্তে ‘সুকন্যা’ বলে একটি ছবিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চরিত্রে অভিনয় করছেন। কিন্তু সেখানে অদ্ভুতভাবে দেখা মেলেনি মিঠুন চক্রবর্তী, রুদ্রনীল ঘোষ, হিরণ চট্টোপাধ্যায়, লকেট চট্টোপাধ্যায়ের মতো অভিনেতাদের। আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে চর্চা।
জেলা সভানেত্রী সঙ্ঘমিত্রা চৌধুরীর কথায়, অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় তথ্য সম্প্রচারমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর এবং অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীকেও অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, তাঁরা আসতে পারেননি। রুদ্রনীল ঘোষকেও বাড়িতে কার্ড পাঠিয়ে এবং ফোন করে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, তবুও তিনি কেন তিনি এলেন না তা তাঁর জানা নেই।
এদিকে মিঠুন ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি ঘটনার বিষয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেছেন, ‘অর্থলগ্নী সংস্থার মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে দাদাকে ব্যবহার করেছেন এরাঁ। অথচ সম্মান, পুরস্কার কিছুই দেয়নি বিজেপি। এটা অবমাননাকর।’ কলকাতার বিজেপি ঘনিষ্ঠ তারকাদের কথায়, কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে মিঠুনের নাম বাদ দেওয়া নিয়ে এত হইচই, আমরাও কীভাবে মহাগুরুকে বাদ দিলাম! অন্যের দিকে আঙুল তোলার আগে নিজেদের ত্রুটি কোথায় লুকাব!