সেহরি খাওয়া বরকতের কাজ। সুতরাং ক্ষুধা লাগুক আর না লাগুক; খেতে ইচ্ছা হোক আর না হোক; তবুও সামান্য পরিমান হলেও শেষ রাতে খাবার খেয়ে নেয়া বরকতের কাজ। এ ক্ষেত্রে উদর ভর্তি করে খাওয়া আবশ্যক নয়। যদি কেউ শুধু পানি পান করে, শরবত পান করে বা একটি খেজুর খায় তবে কেউ এ বরকত থেকে বঞ্চিত হবে না।
তবে সেহরিতে যেমন পুষ্টিকর ও সুষম খাবার খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে তেমনি কিছু খাবার খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিতে হবে।
যেসব খাবার বাদ দেওয়া ভাল
* অতিরিক্ত চিনিযুক্ত শরবত, কোমল পানীয় কিংবা বাজারের প্যাকেট জাত শরবত।
* চা, কফি, ইত্যাদি।
* অতিরিক্ত তেলে ভাজা পোড়া খাবার।
* অতিরিক্ত মিষ্টি ও মিষ্টি জাতীয় খাবার।
* খোলা বাজারের ভাজা পোড়া ইফতার।
* ডালের তৈরি একাধিক পদ, যেমন একই দিনে পেঁয়াজি, ছোলা, হালিম ইত্যাদি।
* অতিরিক্ত তেল ও মসলাযুক্ত গুরুপাক খাবার।
* অতিরিক্ত গরু, খাসির মাংসের নানারকম খাবার।
* প্রোসেস ফুড কিংবা ফাস্ট ফুড ইত্যাদি ।
আরও পড়ুন: Ramadan 2023: রমজানের রোজার নিয়ত, সেহেরি ও ইফতারের দোয়া
তীব্র গরমের সময় রোজা রাখার জন্য সেহরি গুরুত্বপূর্ণ। উপযুক্ত পরিমাণে এবং সুষম খাবারের মাধ্যমে সেহরি যদি আমরা গ্রহণ করে থাকি সারাদিনে রোজা রাখা সহজ হবে। সেহরি হবে সুপাচ্য, সহজে হজমযোগ্য, পর্যাপ্ত ক্যালরি সমৃদ্ধ সুষম খাবারের সমন্বয়। খাদ্য তালিকায় সব গ্রুপের খাবার থাকতে হবে যেমন, প্রোটিন, শর্করা, ফ্যাট, ভিটামিন ও মিনারেলযুক্ত খাবার ও পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার জাতীয় খাবার। সম্ভব হলে লাল চালের ভাত কিংবা লাল আটার রুটি খেতে পারলে ভালো। লাল চাল কিংবা লাল আটাতে ক্যালরি কম কিন্তু পর্যাপ্ত পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার বা খাদ্য আশ রয়েছে যা আমাদের পেটে অনেকক্ষণ থেকে আমাদের ক্ষুধা লাগা থেকে বিরত থাকতে সাহায্য করে এবং দীর্ঘসময় রোজা রাখা অনেকটাই সহজ হয়।
সেহরিতে এককাপ তরল দুধ কিংবা হাফকাপ টকদই রাখতে পারেন। দই হচ্ছে খুব ভালোমানের প্রো বায়োটিক যা খারাপ ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে ভালোমানের ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করে হজমে সহায়তা করে এবং গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টাইলকে সুস্থ রাখে। সেহরিতে চিড়া দই কলা কিংবা দুধ চিরা কলা ও খেতে পারেন এতে করে পেট ঠান্ডা থাকবে এবং সব পুষ্টি উপাদান ও পাবেন। যাদের ব্লাড সুগার স্বাভাবিক আছে তারা সেহরিতে একটি খেজুর খেতে পারেন।
আরও পড়ুন: Ramadan 2023: জোরপূর্বক সহবাস, ভুলবশত কোনো কিছু খাওয়া – জানুন যেসব কারণে রোজা ভেঙে যায়