হাওড়ার পর উত্তপ্ত হল হুগলির রিষড়া (Hooghly Rishra)। রাম নবমীর মিছিল ঘিরে ফের অশান্তি। ভাঙচুর, ইটবৃষ্টি, আগুন! ফের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উঠল প্রশ্ন। প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকাও। ঘটনার পর এলাকায় বিশাল পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। চলছে রুট মার্চ। রিষড়ায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।
রিষড়ায় রাম নবমীর মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। অভিযোগ, আচমকা এলাকায় অশান্তি বাধে। পুলিশ এবং নিরাপত্তার দায়িত্বা থাকা কেন্দ্রীয় জওয়ানরা দিলীপ ঘোষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যায়। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘আমি মিছিলে ছিলাম। হঠাৎ গন্ডগোল শুরু হয়ে গেল। বোমের আওয়াজ আসছে। কে কোথা থেকে বোমা মারছে কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। পুলিশের উপর আস্থা রাখছি।’
আরও পড়ুন: Panchayat Election: পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে হস্তক্ষেপ করবে না হাই কোর্ট, শুভেন্দুর আর্জি নামঞ্জুর
মিছিলে অশান্তির ঘটনায় রবিবার রাত থেকে ১২ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ওই কাণ্ডে আটক করা হয়েছে আরও অনেককে। পাশাপাশি, রিষড়া এবং মাহেশ এলাকায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। সোমবার সকাল থেকে থমথমে এলাকা। ঘটনার পর এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় বসেছে পুলিশ পিকেট। সোমবার সকাল থেকে এলাকায় প্রচার চালানো হল পুলিশের তরফে। অকারণে বাইরে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে জনসাধারণকে। পাশাপাশি, নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ১৪৪ ধারা মেনে চলারও। রবিবার অশান্তির পর থেকে বন্ধ সন্ধ্যাবাজার। এ ছাড়া জিটি রোড খোলা থাকলেও তার পার্শ্ববর্তী দোকানগুলি রয়েছে বন্ধ। রাস্তাঘাটে লোকজনের জমায়েত নেই। তবে কিছু যানবাহন চলছে। কিন্তু সব মিলিয়ে সুনসান এলাকা।
সোমবার সকালে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তারা টহলদারি চালান এলাকায়। প্রশাসনের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সোমবার রাত ১০টা পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার। শ্রীরামপুর থেকে মাহেশ হয়ে রিষড়া যাওয়ার পথে জিটি রোডে চালানো হচ্ছে নাকা তল্লাশি। প্রতিটি গাড়ি, বাইক এবং অন্যান্য যানবাহন তল্লাশির পর তবে দেওয়া হচ্ছে রিষড়ার দিকে যাওয়ার অনুমতি।
আরও পড়ুন: Malda love affairs: মেয়েকে দেখতে এসে মাকে পছন্দ! রাতেই ঘর ছাড়লেন ২ জন