আতঙ্ক অব্যাহত! দেশে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে করোনা ভাইরাস। গতকালের তুলনায় কিছুটা কমলেও সংক্রমণ সেই পাঁচ হাজারের ওপরেই। একদিনে দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৫,৩৫৭ জন। সেই সঙ্গে অ্যাকটিভ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩২,৮১৪। তাই দেশের ৩ রাজ্যে ফের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছে সরকার। রাজ্য তিনটি হল, হরিয়ানা, কেরালা ও পুদুচেরি।
সরকারি ও বেসরকারি উভয় ধরনের হাসপাতালের করোনা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসায় জরুরি প্রস্তুতি মূল্যায়নের পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। স্বাস্থ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, সরকার করোনা মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে। হাসপাতালে আইসিইউ, অক্সিজেন সরবরাহ এবং অন্যান্য সব বিষয়েও প্রস্তুতি রয়েছে। করোনার চতুর্থ ঢেউয়ের বিষয়ে ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডাভিয়া বলেন, আমাদের সবার সতর্ক হওয়া দরকার। করোনার শেষ সংক্রমণ ছিল ওমিক্রনের BF.7 সাব-ভেরিয়েন্ট। আর এখন XBB1.16 সাব-ভেরিয়েন্টের সংক্রমণ বাড়ছে।
আরও পড়ুন: Free Alcohol: প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টার নাতি, ভুয়ো পরিচয় দিয়ে পুলিশের কাছে ফ্রি মদ চাইলেন ব্যক্তি
সর্বশেষ INSACOG বুলেটিনে বলা হয়েছে যে XBB.1.16 ভেরিয়েন্টটি এখন পর্যন্ত ভারতে মোট কোভিড সংক্রমণের ৩৮.২ শতাংশ সংক্রমণের জন্য দায়ি। XBB.1.16-ভেরিয়েন্টে আক্রান্তের লক্ষণগুলি মোটামুটি একই। জ্বর, কাশি, সর্দি, সর্দি, মাথাব্যথা, শরীরে ব্যথা, কখনও কখনও পেটে ব্যথা এবং ডায়রিয়ার মতো উপসর্গ লক্ষিত হচ্ছে এই ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত হলে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগীরা বাড়িতেই সুস্থ হয়ে ওঠেন তবে কারুর যদি অন্য কোন শারীরিক সমস্যা থাকে সেক্ষেত্রে রোগীকে অনেকসময় হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের কথায়, এই নয়া স্ট্রেন সহজেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভেঙে দিতে পারে।
আরও পড়ুন: Natural Gas: বদলে গেল গ্যাসের দাম নির্ধারণ প্রক্রিয়া, রাতারাতি সস্তা হচ্ছে জ্বালানি