মার্চ মাসে নিম্ন আদালতের রায়ের পরেই মালপত্র সরানো শুরু করেছিলেন। বৃহস্পতিবার গুজরাতের সুরাত দায়রা আদালত ‘মোদী’ পদবি নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যের দায়ে সাজা বহাল রাখার পরেই সাংসদ হিসাবে পাওয়া দিল্লির বাংলো ছেড়ে দিলেন রাহুল গান্ধী।
২০০৫ থেকে দিল্লির ১২ তুঘলক লেনের সরকারি বাংলোতে থাকছিলেন সোনিয়া পুত্র। চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল চৈত্র সংক্রান্তির দিন সরকারি বাংলো থেকে নিজের জিনিসপত্র সরিয়ে নেন প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ। দু’টি ট্রাকে সমস্ত জিনিস নিয়ে যান তিনি। মা সোনিয়া গান্ধীর ১০ নম্বর জনপথের বাংলোতে সমস্ত জিনিস রাহুল নিয়ে গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
আপাতত মা সনিয়ার জন্য বরাদ্দ ১০ জনপথের সরকারি বাংলোই তাঁর ঠিকানা। উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলীর সাংসদ হিসাবে ওই বাংলোটি বরাদ্দ প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়ার জন্য। লোকসভার হাউসিং কমিটি শনিবার (২২ এপ্রিল) পর্যন্ত সরকারি বাংলো ছাড়ার সময়সীমা দিয়েছিল রাহুলকে। তা মেনেই নির্দিষ্ট সময়ে বাংলো ছেড়ে দিলেন তিনি।
শনিবার সকালে রাহুলের বাংলোয় গিয়েছিলেন তাঁর বোন প্রিয়ঙ্কা। দুপুরে তিনি আবার যান ১২ তুঘলক রোডে। প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালে অমেঠী লোকসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে জিতে প্রথম সাংসদ হয়েছিলেন রাহুল। সে সময় তাঁর জন্য ওই বাংলোটি বরাদ্দ করেছিল লোকসভার হাউসিং কমিটি। পদ হারানোর পরেই তা ছেড়ে দিলেন তিনি। রাজ্যসভার মেয়াদ দু’বছর আগে ফুরোলেও নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়া গুলাম নবি আজ়াদ অবশ্য এখনও সরকারি বাংলোতেই রয়েছেন!
গত ২৩ মার্চ গুজরাতের সুরাত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এইচএইচ বর্মা ২ বছর জেলের সাজা দিয়েছিলেন রাহুলকে। ওই রায়ের ভিত্তিতেই ২৪ মার্চ লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা ভারতীয় সংবিধানের ১০২(১)-ই অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-র ৮(৩) নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করেন। ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ওই রায়ের বিরুদ্ধে সুরাতের দায়রা আদালতে রাহুল আবেদন করেছিলেন। কিন্তু অতিরিক্ত দায়রা বিচারক আরপি মোগেরা সেই আবেদন খারিজ করে দেন।