বিহারের গয়া জেলার মাগরা থানা এলাকায় মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। স্বামীর সঙ্গে মনমালিন্যের জেরে প্রথমে নিজের সন্তানকে ফাঁস লাগিয়ে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন গর্ভধারিণী মা। পুলিশ ইতিমধ্যেই চার জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে মৃতার স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ২৫ বছর বয়সী মানতি দেবী এবং তার তিন সন্তানের মৃতদেহ তাদের মাটির বাড়িতে দড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মহিলা সহ তিন শিশুর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গয়ার অনুগ্রহ নারায়ণ মগধ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়।
ইমামগঞ্জের ডিএসপি মনোজ রাম জানান, এক নারীসহ চার শিশু দড়িতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান। যেখানে মানতি দেবী ও তার তিন সন্তানকে মাটির ঘরে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। গ্রামবাসীদের উপস্থিতিতে পুলিশ তাদের নামিয়ে দেয়।
ডিএসপি জানিয়েছেন, মৃতদের মধ্যে মানতি দেবীর স্বামী চন্দন ভারতী, ছয় বছরের জিয়া কুমারী, চার বছরের সালিয়া এবং দুই বছরের অভিষেক ছোটু কুমার রয়েছে। তিনি জানান, প্রাথমিক তদন্তে স্বামীর হেনস্থার ঘটনা সামনে এসেছে, এরপরই ওই নারী এই ভয়ঙ্কর পদক্ষেপ নেন। ঘটনার পর থেকে স্বামী পলাতক রয়েছে। পুলিশ তাকে খুঁজছে। মর্মান্তিক এ ঘটনায় গোটা গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অন্যদিকে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
প্রেম সম্পর্কিত ঘটনা
গ্রামবাসীরা বলছে, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। নিহতের মামার বাড়ি ডুমারিয়া থানা এলাকার সুজি গ্রামে। মহিলার দুই বোন প্রায়ই বাড়িতে আসতেন। ঘটনার দিন শুক্রবারও অভিযুক্তের ছোট বোন সিঙ্কি কুমারী পঞ্চচাঁদা এসে সকালে চলে যায়।এরপর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়ার পর বিকেলে নারী ও শিশুকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ঘটনা প্রসঙ্গে ইমামগঞ্জের ডিএসপি মনোজ রাম বলেন, বিষয়টি পারিবারিক কলহের, তবে প্রেমের বিষয়টিও রয়েছে ।