সুকন্যাকে গ্রেফতারি নিয়ে ইডির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অনুব্রত মণ্ডল। সরাসরি সুকন্যাকে গ্রেফতার করে অন্যায় করেছে ইডি বলে আদালতেই মন্তব্য করেছেন তিনি। সুকন্যাকে গ্রেফতার করে ইডি কোনও বাহাদুরি করেনি বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।সুকন্যাকে তিহাড় জেলে না রেখে আসানসোল জেলে পাঠানোর আর্জি জানিয়েছেন তিনি। সোমবার আদালতে এমনই আর্জি জানিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। যদিও আদালত তাঁকে ফের ৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। তবে সুকন্যাকে নিয়ে তার আর্জির কোনও নির্দেশ দেয়নি।
৩ দিনের ইডি হেফাজতের পর কেষ্ট কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে ১২ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট। তারপরেই তাঁকে তিহাড় জেলের মহিলা সেলে রাখা হয়েছে। সেখানেই রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলও। আদালতে সুকন্যা আর্জি জানিয়েছিলেন যে তাঁকে যেন প্রতিদিন তাঁর বাবার সঙ্গে এবং তাঁর বান্ধবী সুতপার সঙ্গে ১০ মিনিট করে কথা বলতে দেওয়া হয়। তাতে আপত্তি জানায়নি ইডি। আদালত জানিয়েছিল পুরোটাই তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষের বিষয়। জেল কর্তৃপক্ষ যদি অনুমতি দেয় তাহলে তাতে আপত্তি নেই। সেই সঙ্গে বেশ কিছু বই সঙ্গে করে নিয়ে যেতে চয়েছিলেন। সেটাও জেল কর্তৃপক্ষ অনুমতি দিলে আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন।
রবিবার জেল হেফাজতের খবর শুনেই ভেঙে পড়েন অনুব্রত কন্যা। বাবার সঙ্গে ফোনে কথা বলতে চেয়েছিলেন সুকন্যা। কিন্তু তাঁর সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। একই জেলে থাকায় কি তবে বাবা-মেয়ে মুখোমুখি হওয়ার সম্ভবনা আছে? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, তেমন সুযোগ মোটেই পাবেন না মণ্ডল বাবা-মেয়ে।
তিহাড় জেল সূত্রে খবর, বাবা-মেয়ের সাক্ষাতের জন্য বিশেষ শর্ত রয়েছে। সুকন্যাকে যে মহিলাদের ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে তা তিহাড়ের পুরুষ ওয়ার্ডের চেয়ে অনেকটাই দূরে। ফলে দেখা করতে হলে জেল কর্তৃপক্ষের কাছে প্রথমে বিশেষ গ্রাউন্ডে আবেদন জানাতে হবে সুকন্যা কিংবা অনুব্রতকে। সেই অনুমোদন বিবেচনা করে তবেই তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষ বাবা-মেয়ের দেখা হওয়ার সুযোগ করে দিতে পারে।