বিজেপি-র ডাকা ১২ ঘণ্টার বনধকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই উত্তপ্ত ময়না৷ বিজেপি নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইঞাকে খুনের প্রতিবাদে এ দিন সকাল থেকেই ময়নায় ১২ ঘণ্টার বনধের ডাক দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ পাশাপাশি আজ সকাল দশটা থেকে এগারোটা পর্যন্ত পূর্ব মেদিনীপুরের একশোটি জায়গায় পথ অবরোধেরও ডাক দেন বিরোধী দলনেতা৷
সেই মতো আজ সকাল থেকে ময়নার বিভিন্ন জায়গায় পথ অবরোধ শুরু করেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা৷ পথচলতি মানুষের সঙ্গেও বনধ সমর্থককারীদের বচসা বাঁধে৷ ব্যবসায়ীরা দোকান খুলতে গেলেও তা বন্ধ করে দেওয়া হয়৷ ময়নার বিভিন্ন জায়গায় রাস্তার উপরেই টায়ারে আগুন ধরিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়৷
পূর্ব মেদিনীপুরে ময়নায় বিজেপির বুথ সভাপতিকে অপহরণ করে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। নিহতের নাম বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়্যা। পুকুরে দেহ উদ্ধার হওয়ার পর তাম্রলিপ্ত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রাজ্য পুলিশের ওপর ভরসা নেই বলে মঙ্গলবারই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল পরিবার। বুধবার সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। সেই ময়নাতদন্ত করার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা নেই বলে আদালতে জানিয়েছে রাজ্য। সূত্রের খবর, তমলুক থেকে দেহ আনা হচ্ছে কলকাতায়। বুধবার বিকেল ৪ টের পর কমান্ড হাসপাতালে হবে ময়নাতদন্ত।
হাইকোর্টের আরও নির্দেশ, ময়নাতদন্তের ভিডিয়োগ্রাফি করতে হবে। পরিবারকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী চার সপ্তাহের জন্য মোতায়েন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী সোমবার এই মামলায় রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যকে।
রাজ্যের তরফে আইনজীবী অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ঘটনাটি দুর্ভাগ্যজনক। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর মৃত্যুর কথা জানা যায়। বিচারকের সামনে পোস্টমর্টেম হয়। দেহে গুলি পাওয়া গিয়েছে। পরিবার দেহ নিতে চায়নি।’ ময়নাতদন্তের ভিডিয়োগ্রাফি করা হয়েছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কিছু লুকনোর নেই। দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত করার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা নেই। পরিবারকে নিরাপত্তা দিতে আপত্তি নেই বলেও জানিয়েছে রাজ্য।